ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশে হারা শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। ৫৮ রান সংগ্রত করতে হারাতে হয়েছে ৫ উইকেট। মন্থর গতিতে ৯ ওভারে সংগ্রহ করে এই রান। সেখান থেকে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন রাজাপাকসে-হাসরাঙ্গা জুটি। শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৭০ রান।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হয়। এতে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন বাবর আজম।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। নাসিম শাহের করা বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেট রক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। ওই ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ রান।
আরও পড়ুন- টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল পাকিস্তান
দ্বিতীয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। তৃতীয় ওভার শেষে চতুর্থ ওভারে ফের আঘাত শ্রীলঙ্কান শিবিরে। হারিস রউফের করা বলে অধিনায়ক বাবরের তালু বন্দি হন পাথুম নিশাঙ্কা।
দলীয় ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় দলটি। এক ওভার শেষে ফের আঘাত হারিস রউফের। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে গিয়ে প্রথম বলে দানুশকা গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন এই বোলার। আর তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪২ রান।
অষ্টম ওভারে ফাইনাল ম্যাচে প্রথমবার বল হাতে তুলে নেন ইফতিখার আহমেদ। ওভারের চতুর্থ বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান তিনি। ব্যক্তিগত ২৮ রান করে ইফতিখারের তালু বন্দি হন সিলভা।
নবম ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো শাদাব খানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক বাবর। অধিনায়কের আস্থা রাখলেন শাদাব। পঞ্চম বলে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। দলীয় ৫৮ রানে ফেরেন শ্রীলঙ্কান ক্যাপ্টেন।
ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসে জুটিতে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি ষষ্ঠ উইকেট হারায় ১১৬ রানে। ২১ বলে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ১৭২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি। হারিস রউফের করা ১৫তম ওভারে তালু বন্দি হন হাসারাঙ্গা।
এদিন ফিফটির দেখা পান ভানুকা রাজাপাকসে। দলকে খাদের কিনারা থেকে একাই তুলে নিলেন নিরাপদ স্থানে। ৫ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন মাঠে। ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে সংগ্রহ করেন ৭১ রান।
চামিকা করুণারত্নেকে সাথে নিয়ে শেষ ৪ ওভারে সংগ্রহ করেন ৫০ রান।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ নির্ধারিত ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। নাসিম শাহ, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।
শ্রীলঙ্কাঃ পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেট রক্ষক), দানুশকা গুনাথিলাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, প্রমোদ মাদুশান, মহেশ থেকশান, দিলশান মদুশান।
পাকিস্তানঃ মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, আসিফ আলী, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন।