দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যাপক সংঘর্ষ। লক্ষ্মীপুরে এসব নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছে জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা গোলাম ফারুক পিংকু ও অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ প্রভাবশালী কাউকে দেখা যায়নি।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে শহরের উত্তর তেমুহনী বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা বলেন, সবসময় যাদেরকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মিটিং মিছিলে দেখা গেছে। ভাগ-বাটোয়ারা ও লুটপাট বসিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। আজ দেশের এ ক্লান্তি মুহূর্তে তারা সবাই আত্মগোপনে গেছেন বলে দাবি করছেন বিক্ষুব্ধ এ দুই নেতা।
গোলাম ফারুক পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও পিংকু সদর আসনের এমপি ও নয়ন রায়পুর আসনের এমপি। আজ তারা রাজপথে নেই।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম পলাশ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ পাটোয়ারীকেও ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলে দেখা যাননি। কিন্তু তারা বেশিভাগ সময় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা গেলেও ছাত্রলীগের পরপর দুইটি নৈরাজ্য প্রতিবাদে কর্মসূচীতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী বলছেন সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপু, পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, বর্তমান জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ জামান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী, সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও শাহাদাত হোসেন শরীফ বিভিন্ন মিছিলে অংশগ্রহণ করলে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকেন। এখন ওনাদের ও রাজপথে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি না থাকায় অনেকেই এখন যুবলীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী এক নেতা দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হব। বহু টাকা নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন মিছিল-মিটিং করে। তাই এখন সিদ্ধান্ত নিলাম যুবলীগ আর করবো না।
(আজ) বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন বাবর, অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর শাহাদাত হোসেন রুবেল, রাকিব হোসেন লোটাস, শাহনেওয়াজ হিরা, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো.নজরুল বাপ্পি, কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মাসুদসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।