সরকারি পানির পাম্প ও ঘর লুটে নেওয়ার ঘটনায় শীর্ষ সংবাদে খবর প্রকাশের পর জায়গাটি এবার বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। নির্মানাধিন সেই ভবনটিও তেরপাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের রোসানল থেকে বাঁচতে কাজটি করেছেন অভিযুক্তরা। এখন সেটি চলাচলের রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করছেন তারা। রবিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে বালু ভরাটের চিত্র দেখা যায়।
এরআগে (১১ জুলাই) ‘লক্ষ্মীপুরে সরকারি পাম্প ও ঘর লুটে নিল এমপি প্রতিনিধি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে শীর্ষ সংবাদ। যা মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। ওই ঘটনা আড়াল করতে ও নিজেদের বাঁচাতে পাম্প ঘরের জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে আবুল হোসেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন কিংবা কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানির পাম্পটি স্থাপন করেছেন। এরপর থেকে পাম্পটি তদারকির দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভা। সম্প্রতি পানির পাম্প ও ঘরটি ভেঙে নিয়ে যায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের স্থানীয় প্রতিনিধি রেজাউল করিম রিয়ান। পানির পাম্প ঘরের পিছনের নব-নির্মিত ভবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে কাজটি করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরে সরকারি পাম্প ও ঘর লুটে নিল এমপি প্রতিনিধি
এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম রিয়ান জানান, ভেবেছিলাম পানির পাম্প ভবনের জায়গাটি জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। এজন্য দফতরটি থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে পাম্প ঘরটি ভাঙা হয়। তবে কোন কর্মকর্তা থেকে অনুমতি নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। এছাড়া আবুল হোসেনদের বিল্ডিং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে টাকার বিনিময়েও কাজটি করার অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি তাঁর।
অন্য অভিযুক্ত আবুল হোসেন জানান, সরকারি ঘরটি কে বা কারা ভেঙে নিয়ে গেছে বিষয়টি তাঁর জানা নেয়। তিনিও কাউকে টাকা দিয়ে পানির পাম্প ঘরটি ভাঙায়নি। তাঁর নির্মানধীন বাড়িতে ওই পাম্প ঘরের কোন ইটের খোয়া ব্যবহারও করেননি। তবে সম্প্রতি বিল্ডিং সামনে চলাচলের রাস্তায় গর্ত দেখে বালু দিয়ে সেটি ভরাট করেছেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূইয়া বলেন, পানির পাম্পটি জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। তাই লুটে নেওয়ার ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। তবে সংশ্লিষ্ট দফতর চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিলকিস আক্তার বলেন, পানির পাম্প ও ঘর লুটে নেওয়ার ঘটনায় এখনো সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।