এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির জমজমাট ফাইনালে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৫তম আসরে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। আর শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
টস জয় মানেই ম্যাচ জয়। কারণ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ১২টি ম্যাচের মধ্যে পরে ব্যাটিং করে ম্যাচ জয় করেছে নয়টি দল। সেদিক দিয়ে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস ভাগ্যে জিতেছে।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে টসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইনাল খেলার কার্যক্রম শুরু হয়।
দুই দল যেভাবে পারফর্ম করে এসেছে ফাইনালে, তাতে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাসই মিলছে আজকের এই ফাইনালে।
কে জিতবে এবারের শিরোপা? তবে ফাইনালে জয়ের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে এগিয়ে শ্রীলংকাই। এর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা-পাকিস্তান। এরমধ্যে দু’বার জয় পায় শ্রীলংকা, একবার জিতে পাকিস্তান।
ওয়ানডে ফর্মেটে ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল শ্রীলংকা। কলম্বোতে হওয়া ফাইনালে ৪৫ ওভারের ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৪৩তম ওভারেই জয় তুলে নেয় শ্রীলংকা।
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপ ফাইনাল মাতাতে পারেন যারা
এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে আবারও দেখা হয় শ্রীলংকা-পাকিস্তানের। ঐ ফাইনালে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান। ৩৯ রানে ঐ ম্যাচটি জিতে প্রথমবারের মত এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হওয়া ৫০ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৭৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ২৩৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা।
২০১৪ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে তৃতীয়বারের মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা-পাকিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরের ফাইনালে শ্রীলংকা ৫ উইকেটে হারায় পাকিস্তানকে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ২২ বল বাকী রেখে ফাইনাল জিতে নেয় শ্রীলংকা।
পাকিস্তান একাদশঃ বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নেওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
শ্রীলঙ্কা একাদশঃ কুশল মেন্ডিস, পাথুন নিশাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দানুস্কা গুনাতিলাকা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ভানুকা রাজাপক্ষে, চামিকা করুণারত্নে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকসেনা, প্রামাদ মাদুসান, দিলশান মাদুশাঙ্কা