বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ভারতে দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দিন পাঁচেক আগে ভেঙে দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। দিন পাঁচেক আগে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে।
তবে এর দুই দিন না যেতেই দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে আগের বোর্ড পুনর্বহাল করা হয়। তবে এবার বড় শাস্তির মুখেই পড়ল এসএলসি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।
আরও পড়ুন—
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক মিডিয়া রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে এসএলসির সদস্যপদ স্থগিত রেখেছে আইসিসি। আইসিসি বোর্ড বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বৈঠক করে। এসএলসির প্রতি অভিযোগ, তারা বেশ কিছু গুরুতর নিয়ম ভঙ্গ করেছে। বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিতভাবে পরিচালিত বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ একেবারে অগ্রহণযোগ্য। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে সেটিই হয়েছে।
এই কারণে আইসিসির এই খড়্গ নেমে আসা। নিষেধাজ্ঞার শর্তগুলো নিয়ে যথাসময়ে আইসিসি বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন—
এই স্থগিতাদেশ তুলে নিতে না পারলে আইসিসির কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না তারা। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা টুর্নামেন্ট খেলার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়বে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য ডিসেম্বরের আগে শ্রীলঙ্কার আর কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই। এছাড়া জানুয়ারির আগে আইসিসির কাছ থেকে তারা কোনো তহবিলও পাবে না। সেক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা অথবা স্থগিতাদেশ দেশটির ক্রিকেট কিংবা বোর্ডের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
অবশ্য এসএলসি সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত হলে বিবেচনার মাধ্যমে স্থগিতাদেশ দ্রুতই তুলে নিবে আইসিসি।
আরও পড়ুন—
স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যতোদিন পর্যন্ত তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না পাবে ততোদিন এই স্থগিতাদেশ থাকবে।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ৭টিতেই হেরেছে লঙ্কানরা। তার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানে। ওই ম্যাচে তারা বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন ৫৫ রানে অলআউট হয়। লিগপর্বের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকায় ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারার শঙ্কায়ও আছে দেশটি।