ঢাকাTuesday , 30 August 2022
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • আশা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ

    Link Copied!

    হতাশার ব্যাটিংয়ে ডুবিয়েছেন বাংলাদেশের নাঈম-মুশফিকরা। তবে বোলিংয়ে ছিল ভিন্ন চিত্র। বোলাররা অল্প পুঁজি নিয়েও বেশ লড়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে উদ্ধার করতে পারেননি। এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম পরীক্ষায় আফগানিস্তানের কাছে ব্যর্থ হয়েছে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ দল।

    এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিতেছিল আফগানিস্তান। এবার বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করল মোহাম্মদ নবির আফগানিস্তান।

    আফগানদের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    অবশ্য টাইগারদের বেশিক্ষণ হতাশায় রাখেননি দলপতি সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই গুরবাজকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। আফগান ওপেনার করেন ১১ রান।

    শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন জাজাই ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজনে গড়েন ৩০ রানের জুটি। জাজাইকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মোসাদ্দেক সৈকত। এরপর ক্রমেই আফগানদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে টাইগার বোলাররা।

    দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে বোলিংয়ে আসেন। নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবীকে আউট করেন তিনি। এ অবস্থায় ম্যাচ অনেকটাই বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ে।

    কিন্তু এখান থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ইব্রাহিম ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষদিকে নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তারা। বলা যায় বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে আনেন তারা।

    আফগানদের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নাজিবুল্লাহ। তিনি মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন। অন্যপ্রান্তে ৪১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব, মোসাদ্দেক ও সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। নিজের প্রথম ওভারেই নাঈমকে ফেরান মুজিব উর রহমান। বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৬ রান।

    এরপর পাওয়ার প্লে-তে নিজের পরের দুই ওভারে আরো দুইবার আঘাত হানেন মুজিব। তার বলে লেগ বিফোর হয়ে বিজয় ৫ ও বোল্ড হওয়ার আগে সাকিব করেন ৯ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হতে আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এসেই তিনি সাজঘরে ফেরান মুশফিকুর রহিমকে।

    মাত্র ২৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। দুজনের ২৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। ১২ রানে আফিফ ফিরলে ফের বেকায়দায় পড়ে টাইগাররা।

    বিপদ আরো ঘনীভূত হয় যখন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এসেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন। তবে ভাগ্যের শেষ সুযোগ হিসেবেই হয়তো সে যাত্রায় কোনোক্রমে জীবন পান সৈকত। ফিল্ডারের পা সামান্য ছোঁয়া লাগে বাউন্ডারি কুশনে, ফলে দারুণ ক্যাচটি পরিণত হয় ছয়ে।

    এরপর থেকেই দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রিয়াদ ও সৈকত। দুজনে মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। ২৭ বলে ২৫ রানে আউট হন রিয়াদ। টাইগারদের হয়ে বাকি সময় একাই লড়াই করেন সৈকত। তিনি ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

    শেষদিকে ১২ বলে ১৪ রান করেন মাহেদি। মুজিব ও রশিদ দুজনেই তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    জে এম আলী নয়ন

    সর্বমোট নিউজ: 4983

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০