বোলাররা দারুণ বোলিং করেছিলেন বড় একটা সময়। কিন্তু সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আটকে রাখতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার রান যায় আড়াইশ ছাড়িয়ে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হলেও যথারীতি ব্যর্থ হন টপ-অর্ডাররা। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে হৃদয়ের জুটি আশা জাগিয়েছিল বেশ। পরে হৃদয়ের একার লড়াইও টেনে নিতে পারেননি শেষ অবধি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কলম্বোয় এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে লঙ্কানরা। জবাব দিতে নেমে ১১ বল আগেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে একজন ব্যাটার কম নিয়ে নেমেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। আফিফ হোসেনকে বসিয়ে একাদশে যোগ করা হয় স্পিনার নাসুম আহমেদকে। সেই নাসুম নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে শ্রীলঙ্কার রান তাড়ায় শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নাটকীয় কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন তিনি। তবে বাউন্ডারিজুড়ে লঙ্কান ফিল্ডারদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষমেষ নাসুমের চেষ্টা থামে ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’খ্যাত মাথিশা পাথিরানার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে।
আরও পড়ুন- অসহায় অবস্থায় খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেনঃ মির্জা ফখরুল
৪২ বলে যখন আর ৬৮ রান দরকার, তখনও জয়ের আশা দেখছিল বাংলাদেশ।
ক্রিজে ‘শেষ ভরসা’ ছিলেন তাওহীদ হৃদয়, খানিক পর তিনি বিদায় নিতেই নিভু-নিভু প্রদীপটি দপ করে অন্ধকার নিয়ে আসে। তখন কেবল তলানিতে একটুখানি তেল নিয়ে যতটা সম্ভব বাকি পথ এগোনোর পালা। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। আরও একটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে আর কোনো নাটকীয়তা মঞ্চস্থ হয়নি।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া টার্গেট থেকে ২১ রান দূরত্বে থেমেছে বাংলাদেশ। ফলে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানদের।
স্কোর: বাংলাদেশ: ৪৭ ওভারে ২২৪/৯ (নাসুম ৬*, হাসান ৮*, শরিফুল ৭, তাসকিন ১*, হৃদয় ৮২, শামীম ৫, মুশফিক ২৯, লিটন ১৫, সাকিব ৩, নাঈম ২১, মিরাজ ২৮); লক্ষ্য ২৫৮ রান।
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৫৭/৮ (রাজিথা ১*, সাদিরা ৯৩, ঠিকশানা ২, দুনিথ ৩, শানাকা ২৪, ধনঞ্জয়া ৬, আসালাঙ্কা ১০, মেন্ডিস ৫০, নিসাঙ্কা ৪০, করুনারত্নে ১৮)