চিনির বাজারে অস্থিরতার মধ্যেই দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দামও বাড়ল। এ দফায় ১২ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই কার্যকর হবে। আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাম নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চিনির দামে রেকর্ড, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার চৌধুরী।
জানা গেছে, এ দফায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ার পাশাপাশি খোলা সয়াবিনের দামও বেড়েছে লিটারে ৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম বেড়েছে ৬৪ টাকা। এছাড়া পাম সুপার তেলের দাম লিটারে বাড়ানো হয়েছে ১৮ টাকা। ভোজ্য তেল আমদানিতে সরকারের দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়ে যাওয়ায় এ দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
এর আগে, বুধবার (৩ মে) ভোজ্যতেল আমদানি ও পরিশোধনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের নতুন দর নির্ধারণ হয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৯৯ টাকা, ৫ লিটারের দাম হবে ৯৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম হবে ১৭৬ টাকা। এছাড়া পাম সুপার তেলের দর নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, আঘাত হানতে পারে ১২ মে
এর আগে, ভোজ্যতেলের দাম সর্বশেষ সমন্বয় হয় গত ১৮ ডিসেম্বর। তখন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর বোতলজাত ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯০৬ টাকা। এ ছাড়া পাম অয়েল প্রতি লিটারের দাম ধরা হয় ১১৭ টাকা।
মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলেন, ভোজ্য তেল আমদানিতে সরকার ভ্যাট মওকুফ করেছিল। গত ৩০ এপ্রিল সে মেয়াদ পার হয়। ফলে এখন বাড়তি ভ্যাট দিয়ে ভোজ্যতেল আমদানি ও বন্দর থেকে ছাড় করতে হচ্ছে বিধায় নতুন করে মূল্য সমন্বয়ের দরকার পড়েছে। তার আলোকেই এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি অবহিত করে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। আলাপ-আলোচনা করেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।