তীব্র গরমের মধ্যে এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের রূপ নেবে। ৬ মে’র পর শক্তি সঞ্চয় করে সেটি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়বে।
এ সংক্রান্ত দেশী ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশ্লেষকের ধারণা ঘূর্ণিঝড়টি মে’র দ্বিতীয় সপ্তাহে নোয়াখালী ও চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ও শেষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়ের। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনও বক্তব্য দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও মঙ্গলবার (২ মে) চলতি মাসের পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশে মে মাসে সাগরে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে আগামী সপ্তাহেই একটি ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- আইপিএল থেকে দেশে ফিরেছেন মোস্তাফিজ
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ১-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি/তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩-৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা/মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
পাশাপাশি চলতি মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০°সে.) এবং দেশের অন্যত্র ১-২টি মৃদু (৩৬-৩৮° সে.)/ মাঝারি (৩৮-৪০° সে.) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, বুধবার (৩ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এখনই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন- ২০ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
এদিকে, বুধবার (৩ মে) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ১২ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি ধারণা করছেন, ১২ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগে উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।