নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে চিনির বাজার। আবারও দাম বেড়েছে চিনির, কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। তিন দিনের ব্যবধানে আরও ৫ টাকা বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে বেড়ে বাজারে এ নিত্য-পন্যটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা দরে। যা আগের সব রেকর্ডকে ভেঙ্গে ফেলেছে। কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে। এছাড়া, খুচরা বাজারে মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি।
বুধবার (৩ মে) রাজধানীর ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে কোনো চিনির সরবরাহ নেই। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা অন্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির সরবরাহ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- বাতিল নয়, সংস্কার হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন
আমদানিকারকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির রেকর্ড দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে অভ্যন্তরীণ বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি দাম দিয়ে চিনি আমদানি করবেন কিনা, সেই বিষয়ে সরকারের মত চেয়েছেন তাঁরা। তারাও বাড়তি দামের কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।
বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চিনির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়েছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। শুল্কছাড়ের পর গত ৬ এপ্রিল ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনির কেজি ১০৪ এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন- কিশোরগঞ্জে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
তবে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যায়নি। আর খোলা চিনি মিললেও ক্রেতাকে কেজিপ্রতি গুনতে হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
এদিকে, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা গেছে, এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।