বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনকে খুঁজছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলা আকারে নথিভুক্ত হয়। এরপর থেকে জাতীয় দলের এই পেসার পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, তিনি বাসা থেকে পালিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইসরাত জাহানের মামা মোঃ সাঈদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই আল আমিন পলাতক। বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সে আর ফেরেননি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পুলিশ খুঁজছে, কিন্তু এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা জানান, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও বাচ্চাসহ বের করে দেয়ার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি আল আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবিরও অভিযোগ করেছেন ইসরাত জাহান। তিনি জানান, তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন এই ক্রিকেটার। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আত্মগোপনে আছেন আল আমিন হোসেন। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের দাবি, দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি কুমিল্লাতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি।
ইসরাতের মামা মোঃ সাঈদ বলেন, এর মধ্যে একবার বাসায় এসে চিৎকার-চেঁচামেচি করেছেন আল আমিন। আল আমিন বলেছেন, এখানে থাকা নিরাপদ নয়। যে কোনো সময় গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন। এই কথা বলেই তিনি চলে গেছেন। তারপর থেকে তার আর কোনো খবর নেই।
মোঃ সাঈদ আরো জানান, ইসরাতকে দুই বছর ধরে নির্যাতন করে আসছেন আল আমিন। এর আগেও নির্যাতনের অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছিল। গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেন আল আমিন। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ইসরাত।