ঢাকা :
বুনো পরিবেশেও যে শান্তি মেলে, সেটা নাজিমগড় ওয়াইল্ডারনেস রিসোর্টে গেলে আরও পোক্ত হবে। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল।
ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয় লালাখালের সারি নদের নীল জল। দুই দিকে পাহাড় আর টিলা দিয়ে ঘেরা এই নদে ঘুরতে এসে ফিরে যেতে মন চায় না। আর তাই না চাওয়া মনকে তক্ষুনি শহরমুখী না করে, এক-দুই রাত কাটিয়ে দিতে পারেন নদের পাশে পাহাড়ের ওপরে গড়ে ওঠা নাজিমগড় ওয়াইল্ডারনেস রিসোর্টে।
রিসোর্টের অতিথিদের খাবারের জন্য আছে হরাইজন নামের একটি রেস্তোরাঁ। যেখানে দেশি, বিদেশি নানা রকম খাবার পাওয়া যায়। ভি শেপের পেটের দিকটায় আছে একটি সুইমিংপুল। আর রিসোর্টের পেছনের দিকে পাহাড়ের গা ধরে বানানো হয়েছে একটি ছোট্ট চা-বাগান। এই বাগানের পথ বেয়ে সোজা ওপরে উঠে আসা যায়। ওপর থেকে পুরো এলাকা ও সারি নদের এক দিক উঁকি দিয়ে ডাকবে আপনাকে। যার মোহ উপেক্ষা করা অসম্ভব। শান্ত নদের গাঢ় নীল পানির ওপরে ভাসার জন্য ইঞ্জিনের বোট ছাড়াও রিসোর্টের নিজস্ব কায়াক আছে। এক বা দুজন যাত্রীর এই কায়াকে বৈঠা মেরে এক বেলা কখন পার হয়ে যায় বোঝাই মুশকিল!
নাজিমগড় রিসোর্ট নামে সিলেটে বেশ আগে থেকেই একটি রিসোর্ট রয়েছে। একই মালিকানাধীন লালাখালে ওয়াইল্ডারনেস নামে নতুন এই রিসোর্ট যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে। সিলেট-তামাবিল সড়কের সারি ঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামের আঁকাবাঁকা আরও সাত কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে সারি নদের পাড়ে দেখা মিলবে রিসোর্টটির।
১০ একর জায়গার বেশ বড়সড় পাহাড়ি টিলা সাজিয়ে-গুছিয়ে তৈরি হয়েছে মনোরম এই রিসোর্ট। মূল ভবনটি তৈরি হয়েছে অনেকটা ইংরেজি ভি আকৃতিতে। দোতলা ভবনজুড়ে চার ধরনের ৩৭টি কক্ষ আছে। সুবিধা ও প্যাকেজের ওপর নির্ভর করে ভাড়াও চার স্তরে ১২ হাজার ৫০০, ১৩ হাজার ৫০০, ১৫ হাজার ৫০০ ও ৪৪ হাজার টাকায় (সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হবে)। থাকার জন্য আছে আধুনিক সুবিধা, প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে আছে সুন্দর বারান্দা।