biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাThursday , 21 September 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • মৌসুমী সর্দি-জ্বর-কাশি প্রতিরোধে

    Link Copied!

    বাংলা মাসের হিসেবে আশ্বিন মাস চলছে। শরতের মিশ্র আবহাওয়া এখন। একদিকে শরতের ভ্যাপসা গরম আবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টি। উষ্ণতা ছড়ানো সকাল, তো বৃষ্টিতে নাকাল দুপুর, শেষ রাতে আবার মৃদু শীতের পরশ। খেয়ালি আবহাওয়ায় মৌসুমী সর্দি-জ্বর-কাশিতে কাবু অনেকেই। দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে-কমছে। কিন্তু গভীর রাত কিংবা ভোরে ঠান্ডা বাড়ছে। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে গরম-গরম ভাব দেখে অনেকেই ঘরে ফ্যান বা এসি চালিয়ে রাখছেন। রাতে ঘুমের ঘোরে তা বন্ধ করছেন না। ফলে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমলে চট করে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সি।

    তাই ঘরে-বাইরে অনেকেই খুকখুক করে কাশছেন। কেউবা নাক টানছেন। অনেকে ঠান্ডা পানি কিংবা ফ্রিজে রাখা কোমল পানীয় খেয়েও সর্দিজ্বর ডেকে আনছেন। হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে থাকা, সারা শরীরে ব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, খাওয়ায় অরুচি, মুখে তিতাভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে অনেকের শরীরেই।

    আরও পড়ুন-   ২ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলীতে উলিপুরে মিষ্টি বিতরণ

    এদিকে এই আবহাওয়ায় ভাইরাস জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু আর করোনার প্রকোপও। এ সময়ে জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকে চার থেকে ১০ দিন। জ্বর সেরে গেলেও শুকনো কাশি, দুর্বলতায় ভোগেন অনেকেই। মৌসুমি সংক্রমণ ও ডেঙ্গু-করোনা সংক্রমণ এই দুই থেকে রেহাই পেতে সুস্থ থাকার দিকে বাড়তি নজর প্রয়োজন। আর এই মৌসুমী সংক্রমণের লক্ষণ, ঠেকানোর উপায় ও সতর্কতাগুলো সারাবাংলার পাঠকদের জানিয়েছেন চিকিৎসক আদনান আহমেদ।

    জ্বর মানেই ডেঙ্গু নয় _

    সময়মতো ডেঙ্গু শনাক্ত না হলে জটিলতা বাড়তে পারে আর চিকিৎসা পেতে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। আবার সাধারণ জ্বরের খুঁটিনাটি জানা না থাকলে ডেঙ্গুর মৃদু উপসর্গও রোগী ও তার পরিবারকে আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণ ফ্লুতে জ্বরের সঙ্গে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, গলাব্যথা, গলার গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। লক্ষণ প্রায় কাছাকাছি। তাই সতর্ক থাকতে হবে খুব। কোনো লক্ষণই অবহেলা করা যাবে না।

    সুস্থ থাকতে হলে _

    এ সময়ে দিনের বেলা শীতের পোশাক পরলে গরম লাগে, আবার ভোর ও রাতে হালকা শীত অনুভুত হয়। ফলে অফিসে যাওয়ার সময় যারা শীতের কাপড় পরছেন না, রাতে বাসায় ফেরার পথে তাদের ঠাণ্ডা লাগছে, আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি-কাশিতে। তাই ব্যাগে সবসময় শীতের কাপড় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ঠাণ্ডা বাতাসে সংস্পর্শে আসলে ঘরে ফিরে আদা, লেবু দিয়ে লাল চা, গরম দুধ, সুপ ইত্যাদি খেলে ভালো লাগবে।

    মশার ব্যাপারেও এসময় চাই বাড়তি সতর্কতা। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশার কয়েল, অ্যারোসল, মশারি, ধুপ ইত্যাদি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। আর দিনের বেলায় সাবধানতাটা বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুকে সাবধানে রাখতে হবে। কারণ ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়ার জন্য দায়ী এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়।

    আরও পড়ুন-   সরকার চুরি করে দেশকে ফোকলা বানিয়েছেঃ মির্জা ফখরুল

    ঘরে মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত রোগী থাকলে তাকে ভিন্ন ঘরে রেখে পরিচর্যা করা উচিত। মৌসুমি জ্বর ছোঁয়াচে নয়, তবে রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে।

    আক্রান্ত হলে করণীয় _

    জ্বর হলে কুসুম গরম পানিতে শরীর মুছে নিন। কুসুম গরম পানিতে গোসলও করতে পারেন। প্যারাসিটামল সেবন করা যেতে পারে। ঠান্ডা-কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। ঘরে গরম পানি, চা, স্যুপ খেলে আরাম পাবেন গলাব্যথার সমস্যায়।

    হাত-পায়ের ব্যথা বা অন্য যেকোনো ব্যথা হলেও প্যারাসিটামল ছাড়া কোনো ব্যথানাশক সেবন করা যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারও এড়িয়ে চলুন।

    মনে রাখবেন ডেঙ্গু, মৌসুমি জ্বর সবই ভাইরাসজনিত রোগ। এমনকি করোনাও। অ্যান্টিবায়োটিক এসব রোগের চিকিৎসা নয়। তবে ভাইরাসের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য কিছু ক্ষেত্রে এসব রোগীকেও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, কিন্তু নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য নানা ওষুধ সেবনের সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

    এই সময়ে যা খাবেন _

    জ্বর হলে মুখের স্বাদ কমে যায়। এ সময় কিছু খাবার আছে যা খেলে মুখে রুচি আসে। আবার জ্বরও ভালো হয়। জ্বরের সময়ে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, ফলের সরবত ইত্যাদি পান করতে হবে।

    আরও পড়ুন-   যুগিচুন বেঁচে চলে সংসার দেবনাথ পরিবারের

    বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠাণ্ডা লাগা থেকেই জ্বর হয়। জ্বরের সময় দু’বেলা টমেটো বা গাজরের স্যুপ খেলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

    ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। সঙ্গে বিভিন্ন রকম চা, যেমন- তুলসি, আদা, লেবু ও লবঙ্গ, ইত্যাদি চা পান করতে হবে। এটি গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশি ও মাথাব্যথার ভেষজ ওষুধ হিসেবে কাজ করব।

    জ্বর সারাতে ভিটামিন সি আছে এমন ফল যেমন- আনারস, জাম্বুরা, কমলা, আমড়া, লেবু ইত্যাদি অত্যন্ত উপকারী।

     

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০