জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। কাজের অগ্রগতির জন্য সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্তি, জরিপের মাধ্যমে নতুন ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি মানববন্ধন করা হয়।
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপ ফাইনাল মাতাতে পারেন যারা
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ছোট ক্যাম্পাসে আমাদের আবদ্ধ না রেখে দ্রুত ক্যাম্পাসকে প্রসারিত করা হোক। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরবর্তী নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিতে হবে। দ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ করা হোক, আর কতদিন আমাদের এভাবে অবহেলায় রাখা হবে?
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে আমরা কেন অবহেলিত থাকব।
আজকে চার বছরে এসে আমাদের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে, কেন দাবি কিংবা আন্দোলন ছাড়া কোন কাজ কি করা যায় না?
সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে প্রশাসন। কাজের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনে যদি সেনাবাহিনীকেও কাজ দেওয়া যায় সেটাও জানানো হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, কাজের তো সুনির্দিষ্ট একটি নিয়ম আছে। নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন : ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু টাকা প্রাপ্তি পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সমাপ্ত হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। তিন বছরে বরাদ্দকৃত ২০০ একর জমির মধ্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৮৮.৬০ একর জমি। বাকি রয়েছে এখনও ১১.৪০ একর জমি।