লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট বাজারের বেরিবাঁধ থেকে মেঘনার চান্দারঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ইটের সলিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। দুর্ভোগ নিয়ে প্রায় দশ হাজার জেলে পরিবারসহ চলাচল করেন মানুষ ও যানবাহন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর অধিকাংশ স্থানে ইটের কোনো অস্তিত্ব নেই। মাঝেমধ্যে কিছু অংশে থাকলেও বেশির ভাগ স্থানেই ইট নেই। এতে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। তাই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন— তাদের হুমকিতে ‘মাইন্ড’ করছি নাঃ প্রধানমন্ত্রী
একাধিক বাসিন্দা জানান, রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ, তাঁরা কষ্টে আছেন। রিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন এই পথে চলাচল করে না। রাস্তার যে অবস্থা, তাতে রিকশায় উঠলে কী পরিমাণ যে ঝাঁকি সইতে হয়, তা বলার নয়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।
চান্দারঘাট গ্রামের বাসিন্দা মানিক হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। রিকশায় যাওয়াই যায় না, বিভিন্ন অংশের ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রিকশায় গেলে ঝাঁকুনি খেতে হয়। তাই বেশির ভাগ সময়ই হেঁটে যাওয়া-আসা করি। আমরা এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমাদের দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হবে।’
গৃহিণী শিউলি আক্তার বলেন, ‘চান্দারঘাট থেকে রিকশায় আসতে খুব কষ্ট হয়। রিকশার ঝাঁকুনিতে কোমরে ব্যথা হয়। তারপরও যাওয়া-আসা করতে হয়। রাস্তাটি অনেক বছর ধরে খানাখন্দে ভরে গেছে, কারও নজরে পড়ে না।’
অটোরিকশার চালক মোঃ সাবুর মাঝি বলেন, ‘এই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ইট উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক ঝাঁকুনি হয়। যাত্রীরা যেতে চায় না, অনেক কষ্ট হয়।’
আরও পড়ুন— আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন
সমাজ সেবক রাশেদ খলিফা বলেন, ‘রাস্তাটি প্রায় ৫ বছর আগে ইটের সলিং হয়েছিল, এখন রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। রাস্তাটি পাকা করা জরুরি। বৃষ্টির দিনে এলাকাবাসী দুর্ভোগ বেড়ে গেছে অনেক।’
উত্তর চরবংশী ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি প্রায় ৫ বছর আগে সংস্কার করা হয়। এ ছাড়া সাংসদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে আমরা আবেদন করেছিলাম।’