সরকার পতনের হুমকিতে ‘মাইন্ড’ করেননি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তারা তো তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। দিতে থাক অসুবিধা নাই। এটাতে কিছু মাইন্ড করছি না।’
শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তো তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। অমুক তারিখে ফেলে দেবে, তমুক তারিখে ফেলে দেবে। দিতে থাক অসুবিধা নাই। আমি এটাতে কিছু মাইন্ড করছি না। আমি মনে করি ভালো। আন্দোলনটা থাকলে আমার পার্টিও ভালো থাকে। নইলে তারা আবার নেয়ে (নেতিয়ে) পড়ে। মাঝখানে কেউ নাই দেখে ঢিলা দিছিল। এখন এমপি সাহেবরাও দৌড়াচ্ছে এলাকায়। খবর নেইনি তো কে কতবার গেল, না গেল। এখন সবাই দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি শুরু করে দিছে। যার যার পজিশন একটু ভাটায় টান দিছিল, তারা এখন আবার দেখি ভালোর দিকে এগোচ্ছে। এটা তো মানুষের জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন— বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ড
আন্দোলনের নামে মানুষের ক্ষতি করলে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে যদি মানুষের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে। ওই রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা ওই ধরনের কিছু করার চেষ্টা করে। তখন তো ছাড়বো না। আমাদের সঙ্গে জনগণ আছে। আমাদের কিছু করা লাগবে না। জনগণকে ডাক দিলে তারাই ঠাণ্ডা করে দেবে। আমরা নাকি তাদের মিছিল-মিটিং করতে দেই না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে, বেশি দূর যাওয়া লাগবে না। ২০০১-এ থাকতে আমাদের সঙ্গে কী আচারণ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে দিনের পর দিন যেভাবে তাদের ওপর টর্চার করেছে, অত্যাচার করেছে। আমরা যদি তার একটা কণাও করতাম। তাহলে তাদের অস্তিত্বই থাকতো না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো তাদের খুলে দিয়েছি যে, তোমাদের যা খুশি কর। নিজেদের কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করে আসো।’
বিএনপির আন্দোলনের টাকা কোথা থেকে আসে সাংবাদিকদের তার খোঁজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, এই যে তাদের সোর্স অব মানিটা, এটা কোথা থেকে? সেটা একটু খবর নেবেন, তারা এত টাকা কোথা থেকে পায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) সফরকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কেউ এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসাও করেনি।’ তত্ত্বাবধায়ক সিস্টেম বিএনপিই নষ্ট করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।