কুড়িগ্রামের উলিপুরে ছুটি না নিয়েই ৭ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত একজন সহকারি শিক্ষক। শিক্ষক সমিতির এক নেতা তাকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে ছুটি কাটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক দাবী করছেন তার অনুপস্থিতির বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা অফিস জানায় ভিন্ন কথা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিরহীম মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ১১টা ছুঁই ছুঁই করছে। শিক্ষার্থীরা এখনো খেলাধুলায় মগ্ন। প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র নাথ তখনও পৌঁছতে পারেননি বিদ্যালয়ে। শিক্ষক বলতে সেখানে আছেন নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের ১ জন।
অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যাপারে উপস্থিত সেই শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সহকারি শিক্ষক হাদিসুর রহমান গত ফেব্রুয়ারী মাস হতে বিদ্যালয়ে আসেন না। তার (হাদিসুর রহমান) ক্লাস চালিয়ে নিতে হচ্ছে অন্যান্য শিক্ষকদেরকে। কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ প্রদানে এর প্রভাবতো পড়বেই বলে জানান উপস্থিত সেই শিক্ষক।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে ২৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো কিউইরা
ইতোমধ্যে সেখানে আসেন বিদ্যালয় এসএমসি’র সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। তিনিও জানালেন একই কথা। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, হাদিসুর একজন অনলাইন জুয়াড়ী। তার দেনার অন্ত নাই। দেনাদারের চাপে স্কুলে আসেন না।
ইতোমধ্যেই সেখানে প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র নাথ আসলেন, তার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক হাদিসুরের বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে হাদিসুরের ব্যাপারে লিখিত ভাবে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
তথ্যাদী দেখতে চাইলে তিনি হাজিরা খাতা হাতে নিয়ে শ্রেণি কক্ষে কক্ষে ঘুরতে থাকেন। অবশেষে বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা অফিসে সব দেয়া আছে সেখানে গিয়ে দেখেন।’
এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক হাদিসুরের অনুপস্থিতির সময়কে অসুস্থ্যতার অজুহাতে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে দেয়ার জোড় চেষ্টা চালাচ্ছেন উপজেলা পর্যায়ের একজন শিক্ষক নেতা।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন জানান, তার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানেন। যোগদান করেছে কিনা তার (জাকির হোসেন) মনে নেই।
আর প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ নাথ বলেন, ‘শিক্ষা অফিসের সুপারিশক্রমে গত ২১ সেপ্টেম্বর হাদিসুর বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।’