দ্বিতীয় ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ নিউ জিল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২৫৪/১০ (ট্রেন্ট বোল্ট ১*, ইশ সোধি ৩৫, লকি ফার্গুসন ১৩, কাইল জেমিসন ২২, উইল ইয়াং ০, ফিন অ্যালেন ১২, চ্যাড বাওয়েস ১৪, নিকোলস ৪৯, রাচিন রবীন্দ্র ১০, টম ব্লান্ডেল ৬৮, কোল ম্যাককনচি ২০)
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজে দুই দলের প্রথম ম্যাচটি পন্ড হয় বৃষ্টিতে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসন। আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আভাস দেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। ভালো শুরুর পরে দ্রুত উইকেট হারিয়ে দিশেহারা নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান উইল ইয়াং। ৮ বলে ০ রান করেন মোস্তাফিজের লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উইল ইয়াং। এরপর ব্যাটিংয়ে নামে চ্যাড বোয়েস। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজ ফিরিয়েছেন ফিন অ্যালেনকে (১২)। প্রথম স্লিপে ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কিউইরা।
আরও পড়ুন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসেঃ রাষ্ট্রপতি
মানকাডিংয়ে আউটটা যদি বাংলাদেশের অধিনায়ক এবং বোলার হাসান মাহমুদ ফিরিয়ে না দিতেন, তাহলে ইশ সোধি আউট হয়ে যেতো ১৭ রানের মাথায়। কিন্তু তাকে আউট না করে সাজঘরে যাওয়ার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার পর সেই সোধি শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ৩৫ রানে। যার ফলে নিউজিল্যান্ডও বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়েছে ২৫৪ রানের মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং এক স্কোর।
যদিও ৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়েছে কিউইরা। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন টম ব্লান্ডেল। বাকিরা বড় কোনো স্কোর করতে না পারলেও বেশ কিছু মাঝারিমানের স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার খালেদ আহমেদ এবং অফ স্পিনার শেখ মাহদি হাসান।
টেস্ট দলে তিনি প্রায় নিয়মিত। তবে ওয়ানডে অভিষেক হলো আজই। অভিষেক ম্যাচে প্রথম ওভারেই ঝলক দেখালেন খালেদ আহমেদ।
কিউই ইনিংসের অষ্টম ওভারে খালেদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করলেও এরপর দারুণভাবে লাইন ফিরে পান খালেদ। পঞ্চম বলে তিনি স্কয়ার লেগে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান অনেকটাই সেট হয়ে যাওয়া চাদ বয়েসকে (১৯ বলে ১৪)।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ২৮৮৯
৩৬ রানে ছিল না ৩ উইকেট। সেই বিপর্যয় থেকে কিউইদের উদ্ধার করেন হেনরি নিকোলস আর টম ব্লান্ডেল। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
অবশেষে এই জুটিটি ভেঙে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত পেসার খালেদ আহমেদ। নিকোলসকে হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফিরিয়েছেন তিনি। ৬১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯ করে খালেদকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন নিকোলস।
এরপর রাচিন রাবিন্দ্রকেও থিতু হতে দেননি শেখ মাহদি। ১৪ বলে ১০ করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় কিউই ব্যাটারকে।
দেখেশুনে খেলছিলেন টম ব্লান্ডেল। কিন্তু হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে স্টাম্প খুঁজে পাননি এই ব্যাটার। ৬৬ বলে ৬৮ রানে থামে ব্লান্ডেলের ইনিংসটা।