জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর পৌরসভাসহ পুরো জেলা বিদ্যুৎহীন রয়েছে। হাসপাতাল ও হিন্দুদের মন্দিরসহ বেশিরভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সেবার কার্যক্র চলছে।।
মঙ্গলবার সকাল দশটার পর এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবির পক্ষে ইউএনও ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (ডিজিএম) তাদের ফেইসবুক থেকে সকলকে বার্তা জানানো হয়েছে।
রায়পুর ইউএনও অনজন দাশ তার ফেইসবুকে লেখেন, প্রিয় রায়পুরবাসী -সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বিদ্যুৎ নেই। এটা আমাদের রায়পুরের স্থানীয় সমস্যা না। সুতরাং চলমান শারদীয় দুর্গাপূজার বিভিন্ন মন্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এবং রায়পুর সবাইকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করা জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
রায়পুরের পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনে বিপর্যয় ঘটেছে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। আমাদের জানানো হয়।” তবে রায়পুর শহরে সন্ধায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। গ্রামে এখনো (১০ ঘন্টা) আসেনি। “এক এলাকায় সমস্যা হলে সেটা অন্য এলাকাকেও আক্রান্ত করে। তবে কোন অঞ্চল থেকে সমস্যার সূত্রপাত, সেটা টেকনিক্যাল কারণে আমরা এখনই বলছি না।”
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, রায়পুর জোনাল অফিসের মাধ্যমে দশটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ মোট গ্রাহক ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। মোট এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটারে আবাসিক ৭৯ হাজার ৯২২ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহক সাত হাজার ৬৩৯ জন। রায়পুর শহর, সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া, চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ ও চরবংশি ইউপির আখনবাজারে স্থাপিত চারটি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুলিশ, আনসারদের সহযোগিতায় লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।