এতে করে পরীক্ষা দিতে না পেরে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন এখন অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা হলেন, নুসরাত জাহান ইতি, আকিব হোসেন, শরীফুল ইসলাম, আরমান হোসেন, নিহা আক্তার, রোমানা আক্তারা ও জিয়া উদ্দিন শুভ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক রবি শংকর চন্দ্র দাস তাদেরকে জানান নির্ধারিত তারিখে জীব বিজ্ঞান পরীক্ষা হবেনা। তাই তারা ওই দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার কোন প্রস্তুতি রাখেনি। কিন্তু সকালে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে অন্য এক মাদ্রাসা শিক্ষক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে কেন্দ্রে ছুটে আসে। এরিমধ্যে তাদের ৪০ মিনিট দেরী হয়ে যায়। এ কারণে হল সুপার তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন। ফলে তারা পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে আসতে হয়।
একই সাথে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, চর আব্দুল্লাহ মাদরাসাতুল জামেয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনম আব্দুল হাকিম ও আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলীর সাথে মনস্তান্তি দ্ধন্ধের কারণে তারা ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এখন তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন অন্ধকারের মধ্যে পড়েছে বলে হতাশা ব্যাক্ত করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হল সুপার ও আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলী জানান, দ্ধন্ধের বিষয়টি সঠিক নয়। জীব বিজ্ঞানের পরীক্ষায় ৭ জন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময় (১১ ঘটিকা) পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি শিক্ষককে অবহিত করা হয়। কিন্তু ৪০ মিনিট পর কেন্দ্রে উপস্থিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এজন্য নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সুপারকে শোকজ করা হয়েছে, একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষা পরীক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের কোন গাফলতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি।