পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী ২৯ জন ও শিশু ২০ জন।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায়।
তিনি জানান, সোমবার রাত পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে তৃতীয় দিনে মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের রংপুর, রাজশাহী ও কুড়িগ্রামের তিনটি ডুবুরি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন- নৌকাডুবিঃ পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০-৬০ জনের ধারণক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে— স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাট এলাকায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী এবং অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।