প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাদের নেতাই খুন, মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ সহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।
আজ শুক্রবার(১১ নভেম্বর) বিকেলের দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে যুবলীগের মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কানাডার কোর্ট পদ্মা সেতুতে দুনীতি খুঁজে পায়নি। তবে কানাডার কোর্ট রায় দিয়েছে বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন।
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নিজের গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে। উৎপাদন হয় সে চেষ্টা করতে হবে প্রত্যেকটি যুবলীগ নেতকর্মীকে। সেই সাথে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন- জীবাশ্ম জ্বালানির কার্বন নিঃসরণ সর্বকালের সর্বোচ্চ হতে পারে
এসময় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যাদের নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলে তারা কে? খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। একটি টাকাও এতিমরা পায়নি। সমস্ত টাকা তারা মেরে খেয়েছে। সেই কারণে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তারপর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যাদের নেতাই খুনি ও আসামি। তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।
তিনি বলেন, ৭১’এ যেই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল, বিএনপি সেই জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। আজকে আবার সেই জয় বাংলা ফিরে এসেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। যেই ভাষণ পরবর্তীতে ইউনেস্কো বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উন্নয়ন নাকি তারা চোখেই দেখে না। চোখ থাকতে যদি কেউ অন্ধ হয় তাহলে তো কিছু করার নেই। তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। অথচ ব্যবহার ঠিকই করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সব সুফল তারা ভোগ করছে। বিএনপির আমলে তারা কী করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট করেছে, দেশের কোনো উন্নয়ন তারা করেনি।
আরও পড়ুন- কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ ধসে আতঙ্কে ছয় গ্রামের মানুষ
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনও কল্পনাও করতে পারেনি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে। আজকে অনলাইনে কেনাকাটা হচ্ছে, যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং করছে। আমরা একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। পরে সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন উদ্যানের চারপাশ।
এছাড়া কাকরাইল, নিউ মার্কেট, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলা একাডেমির সামনেও নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করায় নয়া পল্টন, কাকরাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।








