১৯৯৭ সালে ভারতের বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের ‘পরদেশ’ সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে নাম লিখিয়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। এরপর দেখতে দেখতে পার হয়েছে দুই দশক। তবে শাহরুখ খানের বিপরীতে শুরুটা বেশ সাড়া জাগানো হলেও একপর্যায়ে থেমে যান মহিমা। কিন্তু কেন এই থমকে থাকা?সম্প্রতি এসব বিষয়ে মুখ খুলেছেন মহিমা। তিনি জানান, নব্বইয়ের দশকে নারীদের কোনও স্বর শোনা যেত না। ইন্ডাস্ট্রির মনের মতো হয়ে জীবনযাপন করতে হত নায়িকাদের। না হলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত।
মহিমা বলেন, ‘তখন কেউ কারও সঙ্গে সম্পর্কে আছে শুনলে কাজ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় ছিল। বলিউড আপাদমস্তক কুমারী মেয়েদের চাইত। যারা কোনও দিন পুরুষের সাহচর্যে আসেনি, কাউকে চুমু খায়নি। আর যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তবে ভুলে যান। ক্যারিয়ার ওখানেই শেষ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন- এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
মহিমা জানান, বিয়ে হয়ে যাওয়া নারীরা বলিউডে পা রাখার কথা ভাবতেই পারতেন না। আর সন্তান থাকলে তো কথাই নেই। অবশ্য সব কিছু সামলে এখন সুদিন দেখছেন তিনি।
অতীতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রোমন্থন করে মহিমা বললেন, ‘আমি মনে করি, এখন ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের একটা জায়গা আছে। অভিনেত্রীরা ভালো পারিশ্রমিক পান। সম্মান পান। তাদের অবস্থান আগের চেয়ে দৃঢ়।
কিছুদিন আগে ক্যানসার জয় করে কাজে ফিরেছেন মহিমা। শিগগির কঙ্গনা রানাউতের সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’তে দেখা যাবে তাকে। বর্তমানে নতুন করে ফিরে আসাটা উপভোগ করছেন তিনি। ক্যানসারে তার মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। বলিউডে আবার কাজ পাবেন ভাবেননি। কিন্তু আগের ‘অন্ধকার’ যে ইন্ডাস্ট্রি আর নেই!