ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রুনা খান। বছরজুড়ে কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব রুনা খান। নিয়মিত বিভিন্ন লুকে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে থাকেন। চলতি বছরের শেষ লগ্নে ফিরোজা রঙের শাড়ি পরা ছবি শেয়ার করে ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী।
ফিরোজা রঙের জামদানি শাড়ি পরে ফটোশুট করলেও এই রং তার অপছন্দ। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী তার সোশাল মিডিয়া এ্যাকাউন্টে বলেন, ‘ফিরোজা, আমার আম্মার খুব প্রিয় রং। আমার প্রিয় রং এটা কখনই ছিল না। তবে এই রঙে নিজেকে দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছে না।’
আরও পড়ুন— স্মার্ট তরুণ সমাজ গড়তে চাইঃ কালকিনিতে শেখ হাসিনা
ফিরোজা রঙের শাড়ি ভীষণ প্রিয় রুনা খানের মায়ের। এ শাড়ি তার মা নিয়ে যেতে পারেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে রুনা খান বলেন, ‘আমার ধারণা, আম্মা বাসায় এসে এই শাড়ি দেখে বলবে, এটা আমাকে দিয়ে দাও।’
ফিরোজা রং রুনা খানের অপছন্দ হলেও নেটিজেনরা এ শাড়িতে দারুণ পছন্দ করেছেন। অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু লিখেছেন, ‘কি ফিগার বানাইসস রে রুনা, যেকোনো পোশাকে একদম ফিট। আজকে থেকে খামু (খাবার খাব না) না আর। ওজন ৫ কেজি বেড়েছে।’
সাগর হাসান নামের এক ভক্ত লিখেছেন- এজন্য আপনাকে দেখে অনেকই হিংসা করে, সত্যি আপনি দিন দিন এত সুন্দরী হয়ে যাইতেছেন হিংসা লাগার মতোই, শাড়িতে নারী নাকি অপরুপ সুন্দরী, তা আবারও প্রমান হলো।
আরও পড়ুন— যারা ভোট ঠেকাতে আসবে তাদের প্রতিহত করা সাংবিধানিক দায়িত্বঃ ডিএমপি কমিশনার
কেউবা আবার বলিউড অভিনেত্রী রানী মুখার্জীর সাথে তুলনা করে লিখেছেন- ইনিই আমাদের গরীবের রানী মুখার্জী।
২০০৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রুনা খান। পরের বছরই ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা রাজেশ্বরী। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে রুনার ওজন। ৫৬ কেজি থেকে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১০৫ কেজিতে। গত বছর শারীরিকভাবে দারুণ পরিবর্তন এনে চমকে দেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
২০১১ সালে ওজন কমানের যাত্রা শুরু করেন রুনা খান। কিন্তু এই মিশন মোটেও সহজ ছিল না। কারণ এক পা এগিয়ে দুই পিছিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাই বেশি ঘটেছে। তবে সব বিপত্তি পেছনে ফেলে নিজের মিশনে সফল হন এই তারকা অভিনেত্রী।
View this post on Instagram