গভীর রাতে ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া জাকিয়া ফেরদৌসী নামের এক নারীর প্রাণ বাঁচিয়েছে সদর থানা পুলিশ। স্ট্যাটাস দেয়ার পরপরই নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকার আশরাফুল ফুড প্রোডাক্টসের কর্ণধার আশরাফুল আলম সহ জাকিয়ার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা মোটামুটি সবার নজরে আসলেও আশরাফুলই রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে এগিয়ে আসে সদর থানা পুলিশ এবং মাঝরাতেই জাকিয়াকে উদ্ধার করে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, এক নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে শেষ করবেন বলে স্টাটাস দেন। তাকে আপনারা উদ্ধার করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পৌর এলাকা হতে জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) নামে ওই নারী নিজ আইডি থেকে ওই স্টাটাস দেন বলে জানা যায়। সেখানে লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার পরিবার আমার জীবনটা পুরো শেষ করে দিছে। তারাই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য।
আরও পড়ুন- পরিবেশ নিয়ে আমরা কতটা সচেতন?
এদিকে, ফেসবুকের অই পোস্টটি আশরাফুল আলমের দৃষ্টি পরলে তিনি প্রথমে জাকিয়ার ঠিকানার প্রয়োজনে কুড়িগ্রামের উদ্যোক্তাদের “নিজের বলার মতো একটা গল্প” নামক একটি ফেসবুক মেসেজ গ্রুপে সকল গ্রুপ মেম্বারের কাছে তার ঠিকানা কেউ জানে কিনা এবং জাকিয়াকে কেউ চিনে কিনা জানতে চান। কেনোনা জাকিয়া ফেরদৌসীও সেই মেসেজিং গ্রুপের একজন সদস্য। পরে জাকিয়ার ঠিকানা পাওয়া গেলেও পার্শ্ববর্তী কারো ফোন নম্বর না পাওয়ায় গভীর রাতে ৯৯৯ ফোন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন সকল গ্রুপ মেম্বার এবং তারপরই আশরাফুল আলম ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। এমনটিই বলছিলেন গ্রুপের অন্য এক সদস্য।
জানা গেছে, পোস্টটি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জাকিয়া ফেরদৌসী। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে জাকিয়া ফেরদৌসীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, জাকিয়া তার বাবার কাছে থাকতেন। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে হতাশগ্রস্ত জাকিয়া ফেরদৌসীকে কাউন্সিলিং করে। এরপরে তিনি সুস্থ হন।
এ ব্যাপারে জাকিয়া ফেরদৌসী জানান, আমি মানসিকভাবে হতাশা থেকে উক্ত পোস্টটি করি। পরবর্তীতে এ রকম ভুল আর হবে না।