অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছিল কাঁচামরিচের। যেভাবে দাম বেড়েছে সেভাবেই আবার কমেছে। লক্ষ্মীপুরে শহরের বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম নেমেছে অর্ধেকের নিচে। এতে বাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মরিচের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। সেই সঙ্গে ডিম ও মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি মাছের দামেও তেমন পরিবর্তন আসেনি।
একদিন আগেও প্রতি কেজি মরিচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে প্রতিদিনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত উপকরণের দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষজন। এদিকে দেশি মরিচের দাম কমায় ঢাকা থেকে আমদানি বন্ধ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা স্কুল শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় মরিচের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। এই মরিচ গত একমাস আগেও ৩০০ টাকা এবং সোমবার রাতেও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
রায়পুর গোহাটা বাজারের কাঁচা মালের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কাউন্সিলর আবু ইউসুফ বলেন, গতকয়েকদিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মরিচের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এতে বাজারে দেশীয় মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।
জেলার কাঁচামালের আমদানিকারক সাব্বির হোসেন বলেন, দেশের বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। তাই ভারত থেকে আর মরিচ আমদানি হচ্ছে না বলে জানান।
এদিকে ডিমের দাম কমে ডজনে ১২০ টাকায় নেমে আসে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানী কক বা সোনালী মুরগির দাম। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি এলেও তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দুই সবজি। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া। ফলে সবজি কিনতে এসে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর ও বরবটির। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০, কাঁচা পেঁপ ২০-২৫ ও পটল ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০-৪৬০ টাকা। আর ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কৈ মাছের কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ১৬০০-১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০-১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।