দুই দিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় আবারও মিয়ানমারের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা দিকে থেমে থেমে চালানো ভারী গুলি বর্ষণের শব্দে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ‘সীমান্তে দুই দিন গুলি বর্ষণ বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সকাল থেকে আবারো গোলাগুলি হওয়ায় ফের ভয়ের মধ্যে আছেন সীমান্তের লোকজন। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে’।
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, ‘সীমান্তে আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোন কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছি।’
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফৌরদৌস জানান, ‘সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ামার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল বান্দরবানের ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল দুটি উদ্ধার করে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম এলাকায় পড়ে।