ন্যায্য মূল্যে খোলা বাজারে চাল ও টিসিবি পণ্য পেয়ে খুশি দিনাজপুরের হিলির সাধারণ মানুষেরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে ওএমএসের চাল দেওয়া শুরু হয়। আর কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা স্বল্পমূলে টিসিবির পণ্য কিনতে পেরে তারাও খুশি।
আমন ধান রোপনের পর এই সময়টা সাধারণত নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা আর্থিক সঙ্কটে থাকেন। ঠিক সেই মুহুর্তে সরকার তাদের কথা বিবেচনা করা স্বল্পমূলে চাল বিক্রি করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত বৃহস্পতিবার ( ১ সেপ্টেম্বর) থেকে সরকার সারাদেশে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করেন। হিলি পৌর এলাকায় ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ ক্রেতা ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল কিনছেন।
এছাড়ার আগে থেকে স্বল্পমূূল্যে সুবিধাভোগী কার্ডধারীর মাঝে প্রতি লিটার সোয়াবিন তেল ১১০ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। হাকিমপুর উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ১০ জন ৫৭১ জন মানুষ এই সুবিধা পেয়ে আসছেন। সরকারের এই সুবিধা পেয়ে খুশি নিন্মআয়ের সাধারণ মানুষেরা।
খোলা বাজারে চাল কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, বাজারে দাম বেশি তাই খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে এসেছি। তাছাড়া আমরা গরিব মানুষ বাজাওে জিনিসপত্রের যে দাম হতাশ খেতে হচ্ছে ।
আরেকজন ক্রেতা জানান, বাজারে চাল ৬০ টাকা কেজি। আর খোলা বাজারে ৩০ টাকা। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ তাই লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছি। এতে চাল কেনার উপরি টাকা দিয়ে কাঁচা বাজার করা যাবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ-আলম জানান, হাকিমপুর পৌর এলাকায় ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬ মেট্রিন টন চাল বিক্রি করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিসিবির কার্ড প্রদর্শন করে এসব চাল কেনা যাবে।