লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে কাদের হোসেন (২১) ও রবিন হোসেন (২৮) নামের দুই শ্রমিক নিহত এবং সাকিব হোসেন (২৩) নামের আরেক শ্রমিক মারাত্নক আহত হয়েছেন। আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত দুই শ্রমিকের স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
রোববার (২৬ মে) বিকেলে রায়পুর পৌর শহরের মীরগন্জ সড়কের ফারুকীয়া মাদ্রাসার সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত কাদের দেনায়েতপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর বাড়ীর (বয়াতি বাড়ী) খোরশেদ আলমের ছেলে। নিহত রবিন একই এলাকার ও বাড়ীর জাকির হোসেনের ছেলে। উভয়ের বাবা পেশায় রিকশা চালক।
সংবাদ পেয়ে রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দুই শ্রমিকে লাশ উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
নিহত কাদেরের ছোট ভাই টুটুল জানান, ঠিকাদার সোহেল সেপটি ট্যাংকে ঝুকি জেনেও কাজ করার জন্য আমার ভাইকে নামিয়েছে। আমরা এঘটনার বিচার চাই।।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনার পর তারা খবর পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মৃত ঘোষণা করে।
নিহত রবিনের বাবা বলেন, আমার ছেলে মারা গেছে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে গেছে। আমি মামলায় যাবো না।
এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ঠিকাদার সোহেল পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদারের এক লোক জানান, নিহতদের স্বজনরা যেন মামলা না করে, সে জন্যে নেতাদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা চলছে।
রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) আরেফিন সিদ্দিকি বলেন, নিহত দুই শ্রমিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতিও চলমান।