লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন গাজির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড পুর্বলাচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে-সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের পক্ষে তেমন ভোট না পড়ায় তার এলাকার সমর্থক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান ও রুপবান নামের মহিলা মেম্বার কেন্দ্রের বাহিরে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের আটক করে আইন শৃংখলা বাহিনী।
তালা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার গাজি সমর্থকরা অভিযোগ করে জানান, দুপুর ১টার দিকে ওই ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এসময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের কর্মী পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু নাসের বাবু ও-সমর্থক পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মীর মাসুদ তাকে বাধা দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে আনোয়ার গাজির উপর হামলা চালিয়ে তার বহনকারি মাইক্রো গাড়ী ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রাণ বাঁচাতে ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে ঢুকে পড়েন এই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার গাজি। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
তালা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন গাজি বলেন, আমি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে একটি কক্ষে ঢুকে পড়লে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এর বিচার চাই।
রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে পুরো উপজেলায়। এরমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে কয়েকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লক্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রায়পুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মামুনুর রশিদ (আনারস) ও আলতাফ হোসেন হাওলাদার মাস্টার (মোটরসাইকেল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবিএম বারাকাত বিন জাকারিয়া (টিউবওয়েল) ও মো. আনেয়ার হোসেন (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা আক্তার (কলস), কোহিনুর বেগম (ফুটবল) ও হাজী মাজেদা বেগম (প্রজাপ্রতি)। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০২ এবং নারী ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৬ জন। উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আয়োজন করা হয়।