লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পশ্চিম কাজিরকজীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন অন্য প্রার্থীরা। পুলিশ এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে দেওয়ান বাচ্চুর লোকজন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এসময় সাংবাদিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারা। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান।
জানা গেছে, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দেওয়ার বাচ্চুর লোকজন কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও চালককে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ৬ জনকে আটক করে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, রামগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম ও পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযোগ উঠেছে, সকাল থেকে দেওয়ান বাচ্চুর সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়। ফলে অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আহত রিকশাচালক মনু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি করপাড়া বদরপুর গ্রামে। আমি ভাড়া নিয়ে এসেছি। পাঁচজন যাত্রী ছিল।
হঠাৎ করে একদল লোক আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ডান হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আমার হাত ভেঙে গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রামগঞ্জে ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস), দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল), ফয়েজ বক্স বাবুল (দোয়াত কলম) ও মো. মোশাররফ মুশু (ঘোড়া)। এ উপজেলায় ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) কেন্দ্র। গত পৌরসভা নির্বাচনেও দেওয়ান বাচ্চুর ভাই দেওয়ান ফয়সাল একজন কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে। ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তখন ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ হয়।