biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাThursday , 25 April 2024
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • চন্দ্রগঞ্জের লাটভাই, কে এই বাবলু…(পর্ব ১)

    Link Copied!

    পুরো নাম কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু। কাজী বাবলু হিসেবেই বেশী পরিচিত। পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ কাজী। বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে। স্কুলজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলেও মেট্রিক পাশও করতে পারেননি। ২০০১ সালে প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের টেষ্টে ফেল করার কারণে মেট্রিক পরীক্ষা আর দেওয়া হয়নি। এরপর দীর্ঘ সময় পড়ালেখা বন্ধ ছিল তার। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয় কাজী বাবলু।

    ওই সময় সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কাজী বাবলুকে সভাপতি এবং সাইফুর রহমান জিকুকে সাধারণ সম্পাদক করে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি দেয়। কিন্তু কাজী বাবলুর বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠার ভয়ে বিগত বার বছর ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আর সম্মেলন হয়নি।

    অন্যদিকে ২০১৪ সালের ২ই জুন চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। থানা প্রতিষ্ঠার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে চন্দ্রগঞ্জকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শাখা ঘোষণা করা হয়। এরপর চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের প্রথম কমিটিতে দিঘলীর মোঃ আলাউদ্দিনকে আহ্বায়ক এবং চন্দ্রগঞ্জের কাজী বাবলুকে ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। সর্বশেষ টাকার জোরে আহ্বায়কের পদ দখল করে রাজনীতির সুবাধে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন তিনি। সেই থেকে তার উত্থান শুরু হয়। পারিবারিকভাবে আর্থিক দৈন্যদশায় কাটে কাজী বাবলুর শৈশবকাল। বাবা সিরাজ কাজী জীবদ্দশায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ফুটপাতে বসে প্রতিহাটে সুপারীর ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। কিন্তু রাজনীতির সুবাধে আজ কাজী বাবলু বিশাল বিত্তশালীদের মধ্যে একজন।

    ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের থানা কমিটির আহ্বায়ক হওয়ায় চন্দ্রগঞ্জে বিশাল ক্ষমতার একমাত্র অধিপতি ছিলেন তিনি। অনেকটা যেন মুকুটহীন সম্রাটের মত। অনুগত কর্মীরা তাকে ভাই বা নেতা হিসাবেই সম্বোধন করেন। তবে এলাকার মানুষের কাছে একনামে কাজী বাবলু লাটভাই হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। বর্তমানে কাজী বাবলুর পরিচয় ডাকাত বাবলু।

    চন্দ্রগঞ্জে তার কথাই যেন ছিল শেষ কথা। কেউ তার কথায় দ্বিমত পোষন করলে তার উপর নেমে আসতো নানা অত্যাচার-নির্যাতন। বিগত বার বছরে তার এবং তার অনুগতদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন নিজদলের ১৮০ জন নেতা-কর্মী। ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন মেম্বার, বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, তরুণলীগ, সৈনিক লীগসহ দলের অঙ্গ-সংঠনের অনেক নেতা-কর্মী তার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। নিজে ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ করলেও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য যতগুলো সহযোগী সংগঠনের কমিটি আছে সবকমিটি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনুগতদের বিভিন্ন পদে রাখতে বাধ্য করা হতো জেলা পর্যায়ের নেতাদের। এর জন্য জেলা থানা নেতাদের নগদ টাকাসহ বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করতেন তিনি।

    এছাড়া দলের ভিতরে যেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, তাকেই বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে এলাকা ছাড়া বা দেশছাড়া করতে বাধ্য করা হতো। গত দশ বছরে তার হাতে নির্যাতিত নিগৃহীত হয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে গেছেন অন্ততপক্ষে ৫০ জন দলীয় নেতা-কর্মী। এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ প্রায় অর্ধশত দলীয় কর্মী। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের কখনও যুগ্ম আহ্বায়ক কখনও আহ্বায়ক পদ পদবি ব্যবহার করে এবং তার আস্থাভাজন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে বিগত এক যুগে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন কাজী বাবলু প্রকাশ ডাকাত বাবলু।

    অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকায় আলিশান ফ্ল্যাটের মালিক, চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেটে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দিয়ে কামারহাটের মাকছুদুল আলম স্বপনের কাছ থেকে জোরপূর্বক খরিদ করা ১টিসহ দুটি দোকানের মালিক, চন্দ্রগঞ্জ মধ্যবাজারে আপন আঙ্গিনা শপিং সেন্টারে দোকানের মালিক, নিউ মার্কেট সংলগ্ন মসজিদের মার্কেটে ফার্মেসী ভাড়া দেওয়া দোকান জোরপূর্বক দখল, নিজবাড়িতে ৪তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল দালান নির্মাণ, চৌমুহনীতে ৫টি মাইক্রোবাস ও ৩টি জিপগাড়ির রেন্ট-এ কারের ব্যবসা, গরুহাটা মোড়ে হোসেন প্লাজার ৩য় তলায় পুরো ফ্লোর কিনে সেখানে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে ভাড়া প্রদান, বাঁধের গোড়ায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজী ট্রেডার্স নামীয় দরজা গ্যালারী দোকান স্থাপনসহ নামে-বেনামে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেঞ্চের মালিক এখন কাজী বাবলু। এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসাসহ তার বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।

    বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দরজা গ্যালারী এবং গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা কাজী বাবলু পুরো বাজারে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। বাজারের অন্য কোনো ব্যবসায়ী দরজা বা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারেন না। যারা নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা বাড়ি নির্মাণ করেন, তাদেরকে ধমক দিয়ে তার কাছ থেকে দরজাসহ অন্যান্য মালামাল এবং বাসাবাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তার কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য করা হতো।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশাল চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ইজাড়া ডাক বিগত দশবছর ধরে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তার বাইরে কেউ বাজার ইজাড়া ডাকে অংশ নিতেও পারেনা। বাজার ইজাড়া তার নামে থাকায় সরকারি টোল বা খাজনা আদায়ের নামে চলছে দেদারছে চাঁদাবাজি। ফুটপাতের চটি দোকানের পজিশন ভাড়া দিয়ে এককালীন হাতিয়ে নিয়েছেন অনন্ত ৫০ লক্ষ টাকা। বাজারের একটি চটি দোকানও তাকে বা তার অনুগতদের টাকা না দিয়ে বসাতে পারে না। চটি দোকানের কারণে মার্কেটের মূল ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরাও ঠিকমত ব্যবসা করতে পারেন না। বাজার ইজাড়ার নামে মুরগী বাজার, তরকারির বাজারে চলছে নানা ধরণের হয়রানি। পুরাতন ছাগল হাটায় এককালীন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অগ্রীম নিয়ে ভাসমান মুদি দোকান ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এনিয়ে ঘরভাড়াটিয়া মুদি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ভোক্তা জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। কিন্তু তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের পদ ভাগিয়ে নিতে ৪০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়েছেন কাজী বাবলু। সবশেষ গত ৩ বছর আগে হাজিরপাড়ায় সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নিলেও এলাকায় নিজের অনুগতদের নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের আগে পদ-পদবি না থাকায় প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচনী ব্যয়ের কেন্দ্র খরচের টাকা হাতিয়ে নিতে সুবিধা হবে না জেনে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদ ভাগিয়ে নেন। জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকলীগের থানা কমিটির আহ্বায়ক পদ ভাগিয়ে নিতেও টাকা খরচ করেছেন।
    কাজী বাবলু মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাশ করতে না পারলেও অর্থের জোরে বার বার দলের বিভিন্ন পদ-পদবি নিজ দখলে রাখেন। টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুবাধে পদ এবং তার অনুগত বাহিনী ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন কাজী বাবলু। নির্বাচনের পর সরকারি জায়গায় ঘর দখলসহ চাঁদাবাজি করে ৫৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ, এই ঘর দখলে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিঙ্কু ও বেগমগঞ্জ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণের বাধা নিষেধেও কর্ণপাত করেনি ডাকাত বাবলু।

    জানা গেছে, বিগত তিনবছর যাবত চন্দ্রগঞ্জে হযরত দেওয়ান শাহ মেলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার ইশারার বাইরে দলের কেউ এক টাকারও সুবিধা নিতে পারেনি। মেলা প্রাঙ্গণে যাদু খেলা, হোন্ডা খেলা, অবৈধ টিকটিকির খেলা, সাবান খেলা, নাগরদোলাসহ আয়ের বিশাল খাতগুলো তার দখলেই ছিল। এসব আয়ের খাতগুলো থেকে দলের কাউকেই কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি।

    কাজী বাবলুর অন্ধকার জগত :
    চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, দিনে ছাত্রলীগ/স্বেচ্ছাসেবকলীগ পরিচয় আর রাতে ডাকাতি ছিল কাজী বাবলুর অন্যতম পেশা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নাছির বাহিনীর প্রধান নাছির ডাকাতের সাথে সখ্যতার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে ডাকাতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করেছে কাজী বাবলু। এছাড়া চন্দ্রগঞ্জ বাজারে নাছির ডাকাতের নাম ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ চাঁদাবাজি করেছে বাবলু। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা জুডিসিয়াল তদন্ত করলে তার এসব অপকর্মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

    জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ হোসেন জয় বলেন- বাবলুর মত লোক যদি কখনও ছাত্রলীগ আবার কখনও স্বেচ্ছাসেবকলীগের থানা কমিটির নেতা হয়। তাহলে ছাত্র রাজনীতি করার জন্য কোনো ভালো পরিবারের মেধাবী সন্তানরা এগিয়ে আসবেনা। জয় বলেন, ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসার মত নিন্দনীয় কাজে যে জড়িত তাকে কোনো ভাবেই রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারেনা। আমরা জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাদের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে তাকে দলীয় পদ থেকে অপসারণসহ বহিস্কার করা হোক।

    চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহম্মেদ বলেন- কাজী বাবলু রাজনীতির আড়ালে রাতে ডাকাতির সাথে জড়িত। এছাড়া নিজ দলীয় কর্মীদের উপর হামলা, তার কথামত না চললে মামলার আসামি করা, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দলীয় কর্মীদের হত্যা, চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্যসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজনীতিকে পুঁজি করে বিগত বার বছরে ডাকাত বাবলু অন্তত ৩০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সবশেষ মেধাবী ছাত্রনেতা এম. সজীবকে খুন করেছে এই বাবলু ডাকাত।

    সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে ডাকাতির চেষ্টাকালে ডাকাত নাছির বাহিনীর নাছির ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড কাজী মামুনুর রশিদসহ ১০ ডাকাতকে আটক করে র‌্যাব-৭। ওইসময় তাদের কাছ থেকে ম্যাগাজিনসহ পিস্তল, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ডাকাতির সরঞ্জাম ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৭ এর ডিএডি মো. নেছার উদ্দিন বাদি হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় কাজী বাবলুকে দ্বিতীয় আসামি করে গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনের নামে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুইটি মামলা (জিআর ৫৪৩/১২ ও ৫৪৪/১২) দায়ের করেন। এরপর মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জসীট) দাখিল করেন। বর্তমানে মামলা দুটি বিচারাধীন রয়েছে।
    এ দিকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারী বিকালে কুশাখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে গ্রেপ্তার করার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তার আগেরদিন সন্ধ্যায় সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
    পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২৬ আগষ্ট সদর উপজেলার কুশাখালীর ঝাউডগী এলাকায় মোসলেহ উদ্দিনের বাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ওই ডাকাতির প্রস্তুতিতে কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    চলবে….

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…