লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কৃষক আবুল কাশেম (৩৫) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক-শ্যালিকাসহ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহত কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস, শ্যালক জহির উদ্দিন, জেঠ্যস আকলিমা বেগম, স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার।
গত শুক্রবার রাতে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের কোনো তথ্য ও প্রমাণ ছিল না। ঘটনার পর থেকেই তাহমিনা পলাতক ছিলেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাব পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের নিকট হস্তান্তর করেছে। হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাদের কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত কাশেম কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের আবু ছায়েদ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। প্রায় তিন মাস আগে চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের তাছলিমাকে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন।
গেলো ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে বের হন। রাত ১০টার দিকে স্ত্রী তাছলিমা তাকে মোবাইলে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পান। পরদিন সকাল সোয়া ৭টার দিকে শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে কাশেমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তাছলিমার বাবা আক্কাস মোবাইলে বিষয়টি কাশেমের বাবাকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো এবং নাক ও মুখে রক্ত লেগে ছিলো।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছায়েদ বাদি হয়ে কমলনগর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে কাশেমের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক, জেঠ্যস ও শ্যালিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।