তুরস্ক থেকে আমদানি করা প্রায় ২শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সময়মতো খালাস না নেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরেই নষ্ট হলো। পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিতে না পারায় এগুলো জাহাজেই আটকে থাকে প্রায় একমাস ধরে। অশেষে পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছে নগরীর ইপিজেড এলাকায় টিসিবি কার্যালয়ের পাশের পুকুর পাড়ে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়। তবে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দরিদ্র মানুষ।
গত বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে পচা পেঁয়াজ বাছাই করে ফেলে দেওয়া হয়। এসব পেঁয়াজের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। টিসিবি’র দাবি, এর দায়ভার তুরস্কের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
এদিকে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের দোকানে মিলছে না এ পণ্যটি। ট্রাক থেকে কেনা পেঁয়াজও পচা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা।
ডকুমেন্টশনে কোন ঝামেলা থাকলে সে দায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানেরই, টিসিবির নয়। বুধবারও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পেঁয়াজগুলো দেখে গেছেন। তারা এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে গেছেন। তবে সরকারের আর্থিক ক্ষতি না হলেও ডকুমেন্ট জটিলতায় এতগুলো পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। টিসিবির জন্য আনা প্রায় ২শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি কেমন হলো এ প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির দায়িত্বশীল এ কর্মকর্তা বলেন, এতে সরকার বা টিসিবির এক টাকাও ক্ষতি নেই। কেননা, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিই ছিল, তারা যে পরিমাণ ভাল পেঁয়াজ দিতে পারবে সেগুলোই গুদামে রাখা হবে।
তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় একমাস ধরে আটকে ছিল। পণ্য খালাস সময়মতো না হওয়ায় ছাড়তে পারেনি এ জাহাজ। এ লটে যত পেঁয়াজ ছিল তার সবই নষ্ট হয়নি। ভাল পেঁয়াজগুলো আলাদা করা হয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ ভাল মানের পেঁয়াজ বুঝিয়ে দেবে, টিসিবি সেগুলোই গ্রহণ করে মূল্য পরিশোধ করবে।