জয়পুরহাট রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে কোথাও যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে এসে অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। তবে অপেক্ষার ওই সময়টাতে বৃষ্টি হলেই মুশকিল। শেডের বড় বড় ছিদ্র দিয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো প্ল্যাটফর্ম। এতে ভিজে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে শেডের উত্তর পাশে কিছু অংশ বাড়ানো হয়েছে। ওই অংশ ভালো আছে। তাছাড়া দক্ষিণের বড় অংশের ওপরে মরিচা পড়েছে। আর নিচের দিকে চকচকে রয়েছে। তবে পানি পড়া চালাসহ বেশ কিছু জায়গায় ১৩-১৫টির মতো বড় বড় ছিদ্র রয়েছে। দুইটি বড় ছিদ্রে ইট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। বৃষ্টির সময় ছিদ্রগুলো দিয়ে পানি পড়ে প্ল্যাটফর্ম ভরে যাচ্ছে।
এ সময় অনেক যাত্রী বসার স্থানে থাকতে না পেরে একপাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। আবার অনেক যাত্রীর কাপড় ভিজে যাচ্ছে।
স্টেশন সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে শেডের কাজ করা হয়। ওই সময় নষ্ট হওয়া পুরোনো টিনের চালা পরিবর্তন করে নতুন চালা লাগানো হয়। সেই চালার ওপরে মরিচা ধরেছে। আবার শেডে ছিদ্র হয়েছে। বৃষ্টির পানি হলে ওই ছিদ্রগুলো দিয়ে প্ল্যাটফর্মে পানি পড়ে।
আরও পড়ুন— বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি, প্রশাসনের মাইকিং
এক যাত্রী বলেন, আজ (বুধবার) সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। রকেট মেইলে চড়ে সান্তাহার যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে এসেছি। দেখি শেডের ছিদ্র দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে। এতে পুরো প্ল্যাটফর্মে পানি জমেছে।
রমজান আলী নামের আরেক বলেন, ‘শেডের চালার ছিদ্র দিয়ে ব্যাপকভাবে পানি পড়ছে। বসার কোনো পরিবেশ নেই। প্ল্যাটফর্মের চেয়ারে বসে থাকতে না পেরে দাঁড়িয়ে আছি। পানির কারণে প্ল্যাটফর্মে থাকা কষ্টকর। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত শেডটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
জয়পুরহাট রেলওয়ে পরিচালনা কমিটির সদস্য ইসতিয়াক জামান বিদ্যুৎ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এই সমস্যা চলছে। অনেক যাত্রী ট্রেন আসার কিছু সময় পূর্বেই প্ল্যাটফর্মে এসে বসে থাকেন। কিন্তু বৃষ্টি হলে তারা বসে থাকতে পারেন না। দ্রুত সময়ে এটি সমাধান করা দরকার।’
এ ব্যাপারে স্টেশনমাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখানে অল্প দিন আগে এসেছি। এরপর দেখি বৃষ্টি হলে শেডের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। ওই সময় যাত্রীদের দাঁড়াতে কষ্ট হয়। এ বিষয়ে গত ১৬ আগস্ট রেলওয়ের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার, ডিআরএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট শেড মেরামতের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। দ্রুত শেড মেরামত হবে বলে আশা করেন তিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) হাসান আলী বলেন, ওই শেডটি ছিল আগের নকশায়। এখানে পানি আসে ভেতরের দিকে। আর ময়লা এসে জমা থাকে। এতে তাড়াতাড়ি মরিচা ধরে। কিন্তু এখনকার নকশায় পানি পড়ার ব্যবস্থা বাইরে করা আছে। এতে ময়লা সেরকম লেগে থাকে না। ওই শেডে পানি পড়ার সমস্যা নিয়ে আমরা একটি স্টিমেট সেতু অফিসে পাঠিয়েছি। টেন্ডার হলে কাজ শুরু করা হবে।