নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা সদরে জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তথ্য গোপন করে চাকরি নিলেন সেনা সদস্য ওমর শরিফ।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একজন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওমর শরিফ ২০১৫ এবং ২০২১ সালের জাতীয় পরিচয় পত্রের তালিকা সূত্র অনুযায়ী একজন সরকারী চাকরিজীবী। কিন্তু তিনি তার এ তথ্য গোপন করে ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরপুর তহুরা আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সৃষ্ট পদে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তারপর ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হলেও সৃষ্ট পদে সহকারী শিক্ষক পদে এডহক কমিটির নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও যোগদান করেন এবং এমপিও ভূক্তি হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওমর শরিফ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি এসে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এতে সচেতন মহলের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আরও পড়ুন- সুন্দরবন থেকে নিখোঁজ জেলের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার
এ বিষয়ে ওমর ফারুকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব বলেন, ‘ওমর শরীফ আমাকে বলেছে আমি কোন সরকারি চাকরি করিনি। তাছাড়া তাকে চাকরি দিয়েছে কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দরা। সে ২০১৪ সালে এ বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।’
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘আমি ওমর শরিফকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করলে সে আমার কাছে বলে আমি সরকারি চাকরি করিনি। তারপর লিখিতভাবে জানতে চাইলে সে সেনা বাহিনীতে চাকরি করার বিষয়টি স্বীকার করেন। আর বলেন আমি পারিবারিক সমস্যার কথা বলে ২০০৯ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’