লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরে রসমালাই খেয়ে শিশু সাদমিন বেলাল রিথি (৩) ও বৃদ্ধা সুফিয়া খাতুন অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সম্পর্কে শিশু ও বৃদ্ধা আত্মীয় হয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু রিথি ও বৃদ্ধা সুফিয়াকে মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
এর আগে, সকালে ১১টার দিকে পৌরসভার মধ্যে বাঞ্ছানগর এলাকার রাজ্জাক কয়েল বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। অসুস্থ সুফিয়া ওই বাড়ির মৃত তনু মিয়ার স্ত্রী ও শিশু রিথি তাঁর নাতনি রুবি আক্তারের মেয়ে।
রোববার সন্ধ্যায় সুফিয়ার নাতি (শিক্ষার্থী) ইয়াকুব আলী বাবলু শহরে উত্তর তেমুহনী ‘হোটেল নুরজাহান এন্ড বিরানি হাউস’ থেকে একটি রসমালাই ৩শ’ টাকা ও একটি দধি ২শ’ টাকা করে কিনে নেয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ওই রসমালাই শিশু ও বৃদ্ধা খাইলে হঠাৎ একাধিকবার বমি করে। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশু রিথির মা রুবি আক্তার জানান, তার দেবর বাবলু নুরজাহান হোটেল থেকে একটি রসমালাই ও একটি দধি বাড়িতে নেয়। সকালে ওই রসমালাই তার শিশু কন্যা রিথি ও নানি সুফিয়া খাইলে হঠাৎ কয়েকবার বমি করে। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে দুইজনকে মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মডেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিলন কুমার ঘোষ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খাওয়ার কারণে অতিরিক্ত বমি হয়েছে। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
নুরজাহান হোটেল ম্যানেজার মো. বাবুল বলেন, আমাদের রসমালাই খেয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অসুস্থ হয়নি। শিশু ও বৃদ্ধার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ খবর আমাদের জানা নেই। আমরা একদিন আগে রসমালাই তৈরি করি, পরেরদিন বিক্রি করি। এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ আসেনি। তবুও আমরা হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করবো।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন বলেন, রসমালাই খেয়ে দুইজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক সদর সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।