দিনাজপুরে পিতাকে হত্যার দায়ে ছেলে বাঞ্জারাম রায়কে (৪৮) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় প্রদানের সময় আসামি পলাতক ছিলেন। ছেলে বাঞ্জারাম রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার পিতা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়কে হত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় ঘোষণা করেন।
দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাঞ্জারাম রায় দিনাজপুর জেলা সদরের আমইর গ্রামের বঙ্কিমচন্দ্র রায় ওরফে বনরাম রায়ের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন- মেলান্দহে মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাঞ্জারাম রায় ও তার বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত গভীরের কোনো এক সময় বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায়ের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় বাবাকে উদ্ধার করতে ছোট ভাই নোহারাম রায় এগিয়ে আসলে তাকেও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেন বাঞ্জারাম রায়।
পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায় ও ছেলে নোহারাম রায়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা বঙ্কিমচন্দ্র রায় মারা যান। পরে ছোট ছেলের স্ত্রী কুমুতি রানী রায় বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করলো।