নাটোর—৪ (বড়াইগ্রাম—গুরুদাসপুর) আসনের উপ—নির্বাচনে কে পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তা নিয়ে সর্বস্তরে চলছে জল্পনা—কল্পনা। গত ৩০ আগস্ট সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মারা গেলে এই আসনটি শূন্য হয় এবং এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এ উপ—নির্বাচন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে যে সকল আওয়ামীলীগ নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মূলতঃ তারাই এই উপ—নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দলের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ রাখছেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জীবিত থাকতে তিনি নিজেই আশাবাদী ছিলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দিবেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর অনুসারীরা মনে করছেন এই আসনে যোগ্য পিতার স্থানটি পাবেন একমাত্র কন্যা এ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি।
আরও পড়ুন- পিডিবির প্রকৌশলীর দুর্নীতিঃ আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ক্ষোভ প্রকাশ (পর্ব-১)
অনুসারীদের দেওয়া যৌক্তিকতায় বলা হচ্ছে, মুক্তি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ—সভাপতি ও বর্তমানে জেলা আ’লীগের সদস্য। তিনি মরহুম পিতার নিষ্ঠাবান সহচর ছিলেন এবং মাঠের রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক সক্রিয় ছিলেন। বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলায় তার মানবিক সেবার সুনাম রয়েছে।
‘বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে মনোনয়ন চাই’ এই দাবি নিয়ে এই উপ—নির্বাচন সহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩ জন নেতা। তারা হলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য—জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক কেএম জাকির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকউদ্দিন সরকারের পুত্র উপজেলা আ’লীগের সহ—সভাপতি এ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান সরকার।
আরও পড়ুন- বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
অপরদিকে এই আসনে গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইতে মরহুম অধ্যাপক কুদ্দুস তনয়া কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমানে জেলা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ আহম্মদ আলী মোল্লা, পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা।
বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী জানান, দল থেকে যাকেই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিবে, তাকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবে ও তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবে।
ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, ভোট গ্রহণ ১১ অক্টোবর। সিসি ক্যামেরা বিহীন ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।