কুড়িগ্রামের উলিপুরে নাগড়াকুড়া দারুল উলূম দাখিল মাদরাসায় নিয়োগের আবেদন গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দারস্থ হওয়ার পরও আবেদন জমা দিতে পারেনি নিরাপত্তা কর্মী পদে প্রার্থী হাবিবুর রহমান। ইতোমধ্যে পেড়িয়ে গেছে এক সপ্তাহ।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একটি চক্রের যোগসাজসে গঠিত পকেট কমিটি উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার ওই মাদরাসায় সুপার সহ ৫টি পদে গত ১ আগস্ট একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন আহবান করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সরকার।
আরও পড়ুন- উলিপুরে মাদরাসায় নিয়োগের আবেদন জমা নিতে গড়িমসি
বিজ্ঞপ্তিতে কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত ৩টি পদের জন্য ৫শত টাকা করে এবং সুপার ও সহ সুপার পদে ১ হাজার টাকা করে ব্যাংক ড্রাফট চাওয়া হয়। আবেদনের শেষ দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বন্ধ ছিল। সঙ্গত কারণে পরদিন ১৬ আগস্ট হাবিবুর রহমান নামীয় একজন আবেদনকারী ব্যাংক ড্রাফট সহ আবেদন নিয়ে মাদরাসায় যান। মাদরাসায় গিয়ে সভাপতিকে না পেয়ে দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত সুপার নুর ইসলাম বিএসসি ও অফিস সহকারীআব্দুল হালিম এর কাছে জমা দেন।
কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার সভাপতির সাথে কথা বলার পর আবেদন নিতে অস্বীকৃতি জানান। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী আবেদনকারী হাবিবুর রহমান নিরাপত্তা কর্মী পদে তার চাকুরীর আবেদন গ্রহণ না করার বিষয়টি জানিয়ে ২১ আগস্ট ইউএনও বরাবর একটি আবেদন করেন।
কিন্তু সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে আবেদনের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউএনও শোভন রাংসা বলেন, ‘আবেদনটি আমি এখনও পাইনি। কপিটা থাকলে আমাকে পাঠিয়ে দেন।’