biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজXDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশনbiggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাSunday , 6 August 2023
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • মেঘনায় অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালু লুট করছে বালু দস্যুরা, বাড়ছে ভাঙন

    Link Copied!

    “কে শুনবে- কার কথা” সরকার বলেন, উচ্চ আদালতই কিংবা স্থানীয় এমপি বলেন- কারো নির্দেশনাই মানছে না লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ২০ জন বালুদস্যু। মেঘনা উপকূলীয় এলাকার রাহুলঘাটসহ ২০ স্থানে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু লুটে নিচ্ছে মাসের পর মাস। এতে একদিকে যেমন ভাঙনের শিকার হচ্ছেন চরাঞ্চলের হাজার পরিবার। অপরদিকে হুমকিতে রয়েছে রক্ষা বাঁধসহ বিশাল চর এলাকা। হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতভিটা বাঁচাতে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবি ছিন্নমূল পরিবারগুলোর। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েকদিন ধরে জানালেও তারা ব্যাস্থতা দেখান বলে অভিযোগ উঠেছে।

    উত্তর চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট, পানিরঘাট, হাজিমারা এলাকা ও আলতাফ মাষ্টার ঘাটের বিপরীতে মেঘনায় বালু উত্তোলন বন্ধে চরাঞ্চলে ছিন্নমূল পরিবারগুলো মানববন্ধন কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাযায়।

    আরও পড়ুন-   রায়ের পরপরই গ্রেপ্তার ইমরান খান

    শনিবার (৫ আগস্ট) সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার উত্তর, দক্ষিন চরবংশী ও চরআবাবিল ইউপির মেঘনা নদীর ৩০ কিলোমিটার নৌ সীমানায় প্রায় ১৫টির মত বেশি চর রয়েছে। চরের লোকজন বহুবার-মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়। ভাঙন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছে না সরকার। কিন্তু মেঘনা নদীর ডুবোচর খননের নামে এক প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা অসাধু ড্রেজার ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চরাঞ্চল ও রক্ষা বাঁধকে ভাঙন হুমকিতে রেখেছে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদে পকেট ভারী করতে তারা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

    যেসব স্থানে যারা বালু উত্তোলন করছে দস্যুরা-
    দক্ষিণ চরবংশী ইউপির পানির ঘাট, ভাংগাটেক জায়গায় ইউপি সদস্য দিদার মোল্লা ও তার বড় ভাই স্থানীয় আ’লীগ নেতা মনির হোসেন মোল্লা ও দুলাল সৈয়াল, মিয়ারহাট (রাহুলঘাট) হাসেম চৌকিদার, বাবুল বেপারি, সৈয়লগো বাজারের মোতালেব সৈয়াল, ভায়রা ঘাটে মামুন ও হাজিমারা সুইজগেইট খালপার এলাকায় জামাল, জুলহাস মোল্লা, ফারুখ সৈয়ালসহ আলতাফ মাষ্টারের ঘাটের পশ্চিম পাড়ে প্রভাবশালী দুই বালু দস্যু। উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের তুলাতুলি স্থানে আমির হোসেন, সোহেল হাওলাদার, আরিফুর রহমান মিষ্টার, শহড় আলী মোড়ে হারুন খাঁ ও পুরান বেরির পু্র্ব মাথায় মোহাম্মদ আলী খাঁ ও আলমগীর বেপারি ও তালতলায় বিল্লাল কবিরাজ ও ঝাউডুগি গ্রামে মোঃ কামাল ও আনোয়ার।

    দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি প্রতিবেদককে বলেন, ‘অবৈধভাবে ড্রেজিং এর কারণে ভাঙন হুমকিতে ইউনিয়নসহ আশপাশের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। বর্তমানে মেঘনার ভাঙন অব্যাহত। বৃষ্টির মধ্যে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমিগুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ছিন্নমূল হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের হাজারও পরিবার। গত ১৩ মে পরিষদের সদস্য (মেম্বার ) দিদার মোল্লাসহ দুইজন কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন ইউএনও। এখন আবারও দুই ভাইসহ কয়েকজন মেঘনা থেকে বালু লুট করছে। কে শুনবে কার কথা। তারা বলে সরকার তো আমাগো। গত কয়েকমাস আগে স্থানীয় এমপি জনসভায় নির্দেশনা দিয়ে গেছেন- মেঘনা থেকে বালু উত্তোলনকারিদের আইনের আওতায় নেয়া হবে। কিন্তু বালু দস্যুরা সকলের উর্ধে থেকে কিভাবে এখনো মেঘনা বালু তুলে ব্যাবসা করছে? আপনারা লেখেন।’

    আরও পড়ুন-   সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের মই লাগিয়ে পারাপার

    ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা সফিক সৈয়াল ও নিজাম বেপারি বলেন, আমরা ৩০ বছর ধরে-মেঘনার ভাঙনের শিকার। নতুন করে বাড়ি করার টাকাও নেই আর জায়গাও নেই। এখন ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা দরকার। আমাদের বেঁচে থাকার মতো উপায় দেখছি না।

    শনিবার দুপুরে (৫ আগস্ট) দক্ষিণ চরবংশি ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মনির মোল্লা বলেন, ‘বালু না তুললে মানুষ বসবাস করবে কিভাবে। তাই বৃষ্টির মধ্যেই বালু তোলা। রিপোর্ট লেখলে কি হবে?’

    চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের বালু দস্যু বিল্লাল কবিরাজ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ৮-১০ জন বালু ব্যাবসায়ী এমপির বাসায় যাই। নদী ছাড়া পুকুর-ডোবা-নালা ও ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করার অনুমতি দেন। এছাড়াও ঝাউডুগি গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের পুকুর থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে কয়েক দস্যু।’

    বালু দস্যু হাসেম চৌকিদার ও বাবুল বেপারি, বিল্লাল কবিরাজ জানান, আমরা ৮-১০ জন ব্যাবসায়ী ছাড়াও ইউপি সদস্য সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তি নদী থেকে বালু তুলছেন।

    আরও পড়ুন-   গাইবান্ধায় মিথ্যা রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী (রায়পুরের দায়িত্বে) ইমতিয়াজ মাহমুদ প্রতিবেদককে বলেন, মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন জানতে পেরেছি।। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ড্রেজিং না করলে পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে রায়পুরে তিনটি ইউনিয়ন ভাঙন হুমকিতে। এখন বর্ষাকাল, তা শেষ হলেই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সহসাই নদী রক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, ‘মেঘনা থেকে বালু তোলার অপরাধে কয়েক মাস আগে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়। প্রয়োজনে আবারও অভিযান চালানো হবে।’

    লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য এমপি এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, মেঘনা থেকে বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে আবার নির্দেশনা দেয়া হবে। তাছাড়া কোন ব্যাক্তিকে নদী থেকে বালু তুলতে বলিনি।

    রায়পুরে টানা বৃষ্টির মধ্যেও মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করে ব্যাবসা-এবং ফসলি জমি ভরাট করছে বালু দস্যুরা।

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ

    জে এম আলী নয়ন

    সর্বমোট নিউজ: 4964

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ 
  • আমাদেরকে ফলো করুন…