খাগড়াছড়ির রামগড়ে ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশ্বস্তকরণ’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
বুধবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় রামগড়ে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ প্রাঙ্গনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কনফারেন্স রুম থেকে যুক্ত হয়ে এ প্রকল্পের কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের আয়োজনে ভিত্তিপ্রস্তর এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আসনের এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বাসন্তি চাকমা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, সড়ক বিভাগ খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রোডর্স এন্ড টার্সফোস বিভাগের সেক্রেটারি এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, ভারতের হাই কমিশনার পর্ণয় ভার্মা, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসহাক।
আরও পড়ুন- সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবিকে তৎপর হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ৩য় লাইন অব ক্রেডিট (LOC-III) এর জন্য একটি Memorandum of Understanding (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত MoU’তে বারইয়ারহাট-হেয়াঁকো এবং রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৮.০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির প্রশস্ততা ৫.৫০ মিটার (১৮ ফুট) হতে বৃদ্ধি করে ১১.৩০ মিটার (৩৮ ফুট) করা হবে।তাছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯টি সেতু এবং ২৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুসারে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ১২৭০০ কিলোমিটার আঞ্চলিক/জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন/পূর্ণবাসন ৩৭৫০০ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ, ৩৭৫ কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণের অংশ বিশেষ বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন- কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দামে বাজারে ছড়িয়েছে ঝাঁজ
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমদানি, রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও উপাঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন দার উন্মোচিত হবে। রামগড় সাবরুম স্থল বন্দর উভয় দেশের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। প্রস্তাবিত সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক এর মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট হতে শুরু করে খাগড়াছড়ি রামগড়ে শেষ হয়েছে এবং রামগড় স্থল বন্দরটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হতে মাত্র ১০৮ কিলোমিটার ও রাজধানী ঢাকা হতে ২০৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং ঢাকার সঙ্গে রামগড়-সাবরুম স্থলে বন্দর এর সংযোগ হবে। এর মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি বেগবান হবে।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী, রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামালসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম থেকে আগত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
