মোটরসাইকেলের গ্যারেজ বা শো-রুম থেকে দেশি-বিদেশি ও নামি-দামি কোম্পানির খালি বোতল সংগ্রহ করে তাতে নিম্নমানের মবিল ঢুকিয়ে বাজারজাত করতেন আবদুর রহমান রনি (৩০) নামে এক যুবক।
বোঝার উপায় থাকতো না সেগুলো খোলা এবং মানহীন মবিল।
এভাবে প্রায় এক বছর ধরে অভিনব কায়দায় বোতলজাত মবিল প্রতারণা করে লক্ষ্মীপুরে বাজারজাত করে আসছিলেন তিনি। গতকাল রবিবার রাতে তাকে হাতেনাতে ধরে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ।
এদিন তার কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের খোলা মবিল, খালি ক্যান এবং বোতলজাত মবিল জব্দ করা হয়। এ সময়ে কারখানার মালিক আবদুর রহমান রনিকে আটক করা হয়।
রনি জেলার সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের সর্দার বাড়ির আব্দুর রহমানের ছেলে। তার কারখানাটির অবস্থান পৌরসভার বাঞ্চানগর বাগবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলে নকল মবিল ঢুকিয়ে রনি জালিয়াতি করে আসছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ মবিল জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিজ্ঞাসবাদে রনি জানায়, গত এক বছর ধরে তিনি নকল মবিলের ব্যবসা করে আসছেন। বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের খালি বোতল সংগ্রহ করে সেগুলোতে খোলা মবিল ঢুকাতেন তিনি। পরে জেলার বিভিন্ন স্থানের মোটরসাইকেল গ্যারেজ বা মবিলের দোকানে পাইকারী দরে বিক্রি করতেন।
তিনি আরো জানায়, যে কোনো ব্র্যান্ডের প্রতিটি খালি বোতল ৩০ টাকা করে কিনে আনতেন তিনি। পরে মবিল ঢুকিয়ে ২৪০ টাকা করে বিক্রি করতেন। সুপার ভি, মবিল সুপার, মবিল ওয়ান, টোটাল, টিটান, ইউএস লুব্রিসহ বিভিন্ন নামের দেশি-বিদেশি ও নামি-দামি কোম্পানি প্রায় ৮-১০ রকমের মবিলের ক্যান পাওয়া যেত তার কাছে। মূলত রনি খোলা মবিলের ড্রাম নিয়ে এসে এসব ব্র্যান্ডের ক্যানগুলোতে ঢুকিয়ে বিশেষ কায়দায় মুখবন্ধ করে ওই নামেই বাজারজাত করতেন।