আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের কাছে অত্যন্ত গুরুপূর্ণ রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার জাতীয় সংসদীয় আসন- ৩২ গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা- ৪) আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র ১ ডজন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জনগনের আস্থা অর্জনের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
ইতি মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সমর্থকদের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গোটা উপজেলা।
আরও পড়ুন- বড়াইগ্রামে স্মার্ট ভূমিসেবা সপ্তাহ শুরু
বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ২০০৮ সালে ১ম বার নৌকা মার্কা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের কাছে হেরে যান এবং ২০১৮ সালে পূর্ণরায় ২য় বার এমপি নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আওয়ামী লীগের ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন- সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নাজমুল ইসলাম লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাধারন সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী বাদু, সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট ইবনে আজিজ মোঃ নুরুল হুদা।
আরও পড়ুন- এই জন্মের দূরত্বটা, পরের জন্মে চুকিয়ে দেবঃ জয়া
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আন্দোলনে অনড় থাকলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় তাদের। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আগ্রহীরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে যাচ্ছে এবং আন্দোলনে তাদের মনোবল দৃঢ় রাখতে সাহস জোগাচ্ছে।
বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ জন হলেন- উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়ছার লিংকন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির, উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট ওবাইদুল হক সরকার বাবলু।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী এবার নৌকায় আস্থা রাখতে চায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের উপর। দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাত করায় তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে।
তিনি প্রতিদিন দলীয় সভা, সমাবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন। তবে বসে নেই অন্য নেতারাও। তারাও ছুঁটে বেড়াচ্ছেন গ্রাম-গঞ্জে।
আরও পড়ুন- জুমার নামাজের পর ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান!
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কথা একটাই শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিবে তাকেই তারা প্রার্থী হিসেবে মেনে নিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করবে।
২০০১ সালে বিএনপি থেকে এ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি মরহুম মোত্তালিব আকন্দ। তার অকাল মৃত্যুতে ২০০৫ সালে উপ-নির্বাচনে বড় ছেলে শামীম কায়ছার লিংকন বিএনপি’র এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক কবির। নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- শার্শায় ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি
বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনে অনড় থাকলেও দলের সিদ্ধান্তে ভোটে অংশ নিলে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তাকেই বিজয়ী করতে মাঠে একযোগে সবাই কাজ করবে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ আসনে নতুন ভোটার সহ মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২’শ ৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৬’শ ৭২ জন, নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫’শ ৮৪ জন, আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬ জন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।