ফরিদপুরের নগরকান্দায় গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের সলিথা গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্যা তার নিজ জমিতে গরুর খাদ্য ঘাসের চাষ করেছেন। সেই ঘাস প্রতিবেশী নুর আলম মাতুব্বর (মাস্টার) ও তার ভাই শাহ আলম মাতুব্বরের গরু প্রায়ই সময় ক্ষেতে গিয়ে খেয়ে খায় ও নষ্ট করে। একাধিকবার তাদেরকে জানালেও তারা কোন কর্ণপাত করে না। শুক্রবার পুনরায় নুর আলম ও শাহ আলমের গরু ঘাস খাওয়ার সময় বাধা দিলে নুর আলম ও শাহ আলম জাহাঙ্গীর মোল্যার উপর চড়াও হয়। দুই পক্ষে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষ রূপ নেয়। পরে গ্রাম্য মাতুব্বর রশিদ মাতুব্বর ও মিন্টু মাতুব্বরের সমর্থকরা যোগ দিলে সংঘর্ষ আরও গুরুত্ত্বর হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন: জাহাঙ্গীর মোল্লা (৫৫), রেজাউল মোল্লা (৩০) , শাহ আলম (৪৫), বেলায়েত মিয়া (৩৪), শাকিব ফকির। আহতরা নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর মোল্যার ছেলে রেজাউল মোল্যা বলেন, আমরা মাটি ভরাট করে বিভিন্ন গাছ লাগিয়েছি। ফকা মাতুব্বরের ছেলে শাহালম মাতুব্বরের গরু এসে আমাদের গাছ খেয়েছে। কিন্তু গরু তাড়িয়ে দিলে শাহালম মাতুব্বর বলেন আমার গরুর বাছুরকে ওটা পিটিয়েছে এ কথা বলেই আমাদের উপর হামলা করেছে।
ফুলসূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ সালিশ মেনেছে। আহতরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরার পর গ্রাম্যভাবে বসে মীমাংসা করে দেয়া হবে।
এ বিষয় নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন, অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।