লক্ষ্মীপুরে মাদরাসার জমি দখলে নিতে বাধা দেয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আবদুল মতিন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মোছলেহ উদ্দিন ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
বুধবার (১৭মে) দুপুরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মটুয়া আল আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মটুয়া গ্রামের চর আল আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসার জমি দখলে নিতে একই এলাকার (বকুলের বাপের বাড়ির) মৃত আলী উল্যার ছেলে আবদুল মতিন গাছ রোপন করেন। এতে মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা বাধা দিলে আবদুল মতিন লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মোছলেহ উদ্দিন সহ অন্তত ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষক হাফেজ মোছলেহ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক
মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে পূর্বে পরিকল্পিত ভাবে আবদুল মতিন মাদরাসার জমি জোরপূর্বক গাছ লাগিয়ে দখল করতে আসে। এতে বাধা দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বিধান, সুমন, ইয়াছিন, শুভ সহ শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রসহ ১০জন আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মতিন বলেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আমার ৪৯শতাংশ জমি দখলের পায়তারা করছে। আমার জমিতে আমি গাছ রোপন করায় তারা ছাত্রদের দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উপর হামলাটি সত্য নয়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোছলেহ উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।