লক্ষ্মীপুর পৌর পোল্ট্রি মোরগ বাজারে খাজনা দাবী ও মোরগ আনলোড করতে না দেওয়ায় দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদে নেমেছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
আজ রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে বাজারে সকল মোরগের দোকান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতাগণ। মোরগ না কিনে ফিরে যাচ্ছে তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দাবী পৌর ইজারাদার গতকাল শনিবার (১৩ মে) হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে শতকরা মোট ২৫ টাকা খাজনা দাবী করে। এতে বিক্রেতারা শতকরা ১৫ টাকা ও ক্রেতারা শতকরা ১০ টাকা হারে খাজনা পরিশোধ করতে হবে। ব্যবসায়ীগণ অতিরিক্ত খাজনা পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে শনিবার (১৩ মে) রাতে মোরগ আনলোড করতে দেয়নি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। মোরগ আনলোড করতে না পেরে ফিরে যায় ২০টি পিকআপ ভ্যান। আজ (১৪ মে) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে মোরগ বেচা-কেনা। ব্যবসায়ীদের দাবী এতে অর্ধকোটি টাকার ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় মোরগ ব্যবসায়ী, ওসমান গণি, শাহাদাত মিয়া হেলাল, শরীফ হোসেন, কামাল হোসেন সহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, গতকাল শনিবার রাতে হঠাৎ করে পৌর ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী আমাদের দোকানের সামনে পৌরসভা কর্তৃক টোল আদায়ের তালিকার একটি সাইনবোর্ড (সাট লিস্ট) ঝুলিয়ে দেন। এতে লিখা রয়েছে হাঁস, মোরগ, কবুতর ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ে গৃহস্থ শতকরা ১০ টািকা ও ব্যবসায়ী শতকরা ১৫ টাকা হারে খাজনা পরিশোধ করতে হবে। ইজারাদেরর দাবী অনুযায়ী শতকরা মোট ২৫ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে।
তারা আরও জানান- আমরা ব্যবসায়ীরা ইজারাদারের এই অযৌক্তিক অতিরিক্ত খাজনা পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে গতকাল শনিবার রাতে আমাদের মোরগ বহনকারী প্রায় ২০টি পিকআপ ভ্যান আনলোড করতে দেয়নি ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী। আনলোড করতে না পেরে মোরগ নিয়ে ফেরত যায় গাড়িগুলো। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ দোকান বন্ধ রেখেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সঠিক সমাধান চাই।
এবিষয়ে ইজারাদার মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী বলেন, আমি একমাসে পূর্বে বাজার ইজারা নিয়েছি। মোরগ আনলোড করতে আমি কোন বাঁধা দেয়নি। খাজনা আদায়ের সাট লিস্ট পৌর কর্তৃপক্ষ লাগিয়েছে। দোকান বন্ধ রাখার বিষয় টি আমার জানা নেই।
এবিষয়ে পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার ভূইঁয়া মাসুম বলেন, বিষয়টি ব্যবসায়ীরা আমাকে জানিয়েছে। আমি ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালামসহ তিন জনকে বিষয়টি দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।