অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি বর্তমানে দুর্বল হয়ে মিয়ানমারে অবস্থান করছে। এর ফলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সমুদ্রবন্দরে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রবিবার (১৪ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে ২২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- না ফেরার দেশে চলে গেলেন মদনের কৃতি সন্তান সাংবাদিক আজহার মাহমুদ
অধিদপ্তর বলছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়ে অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি প্রত্যাহার
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার পর্যন্ত আছে।
আগামীকাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ১৬ মে পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।