ঠাকুরগাঁও জেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি আসাদুজ্জামান পুলককে ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনকে ঠাকুরগাঁও সদর থানা হতে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, প্রত্যাহারের অর্ডারে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণ মানে অনেক কিছু বোঝায়। এছাড়া অভিযুক্ত বাকি চারজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- পাক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা
গত, ২৯ এপ্রিল রাতে ঠাকুরগাঁও পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা থেকে আসাদুজ্জামান পুলক কে থানায় এনে অন্যায় ভাবে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং মুখে ও চোখে গামছা বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতন করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন। এতে আসাদুজ্জামান পুলকের একটি হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং শরীরে মারাত্মক জখম হয়।
এ অভিযোগে বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা আদালতে ওসি কামলাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের নামে মামলার আবেদন করেন জেলা যুবলীগের নেতা আসাদুজ্জামান পুলক।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
বাকি অভিযুক্তরা হলেন- ওসি (অপারেশন) মোঃ লতিফ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মোতালেব।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম জানান- মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা করার আদেশ দেন আদালত।