কওমী মাদরাসায় ভর্তি হয় দুই বছর আগে। সপ্ন ছিল বড় শিক্ষক হবেন। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরন হলোনা। জুমার নামাজের পরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় আবদুল্লাহ তাহসিন (১২)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জুমার পরে (১৪ এপ্রিল) উপজেলার সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া বাজারের মাছবাজার সংলগ্ন মাদরাসাতুদ্দাওয়ার পুকুরে।
নিহত আবদুল্লাহ তাহসিন চরপাতা গ্রামের আফজাল পাটোয়ারী বাড়ীর মাওঃ হানিফের ছেলে এবং রাখলিয়া মাদরাতুদ্দাওয়ার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। তার তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলে। এঘটনায় মা- বাবা ও স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।
দুপুর তিনটার সময় এ প্রতিবেদকের কাছে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আজমুন নাহার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহতের খালা তাহেরা বেগম জানান, তাহসিনের বাবা হানিফ মিয়ার স্বপ্ন ছিলো ছেলে কাওমী মাদরাসায় আবাসিক হলে থেকে পড়ালেখা করে বড় শিক্ষক হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরন হলো না। কোন শিক্ষকই তার খবর রাখলো না। তাহলে কি দরকার ছিলো আবাসিক হলে রেখে লেখাপড়া করার-? সরকারি হাসপাতাল থেকে খবর আসে আপনাদের ছেলে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। হাসপাতাল গিয়ে দেখি লাশ পড়ে আছে বিছানায়।
মাদরাসার সুপার নুর উদ্দিন বলেন, ২০০৮ সালে কওমীমাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৩ জন শিক্ষক পাঠাদানসহ প্রায় ৬’শ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। আমরা সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে শুনতে পাই ৭ম শ্রেণীর তাহসিন মারা গেছেন। পুকুর থেকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাগরিব নামাজের পর গ্রামের বাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাহসিনকে।
রায়পুর থানার এসআই এরফান হোসেন জানান, পানিতে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা হাসপাতালের ডাক্তার থেকে জানতে পারি। পরিবার থেকে অপমৃত্যু মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা করা গ্রহন হবে।